ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নর্থ সাউথ শিক্ষার্থী পা‌য়েল হত্যায় ৩ জ‌নের মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • ৩৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই বছর আগে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে হত্যা করে সেতুর উপর থেকে মরদেহ ফেলে দেয়ার ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তিন আসামি কারাগারে রয়েছে।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা-পুলিশ।

নিহত পায়েল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গোলাম মাওলার ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জামাল ও ফয়সাল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের ভালবো বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পরদিন ভোরে তিনি বাস থেকে প্রস্রাব করতে নামেন। বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হন পায়েল। দায় এড়াতে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেঁতলে নদীতে ফেলে দেয়। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন নিহতের মামা মামলা করেন।

ওই মামলায় গ্রেফতার বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও সহকারী ফয়সালকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নর্থ সাউথ শিক্ষার্থী পা‌য়েল হত্যায় ৩ জ‌নের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০১:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই বছর আগে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে হত্যা করে সেতুর উপর থেকে মরদেহ ফেলে দেয়ার ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তিন আসামি কারাগারে রয়েছে।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা-পুলিশ।

নিহত পায়েল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গোলাম মাওলার ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জামাল ও ফয়সাল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের ভালবো বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পরদিন ভোরে তিনি বাস থেকে প্রস্রাব করতে নামেন। বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হন পায়েল। দায় এড়াতে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেঁতলে নদীতে ফেলে দেয়। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন নিহতের মামা মামলা করেন।

ওই মামলায় গ্রেফতার বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও সহকারী ফয়সালকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।