ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত সময়ে মামলা নিস্পতিতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দ্রুত সময়ে মামলা নিস্পত্তি ও রায় ঘোষণায় বিচার বিভাগের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বাড়ছে। সম্প্রতি খুলনা ও বাগেরহাট আদালতে মাদক ও শিশু ধর্ষণ মামলা দ্রুত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি ও রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পক্ষসমূহকে আইনানুযায়ী সব সুবিধা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি একটি মাইলফলক। এতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিফাত হত্যা মামলাসহ উচ্চ আদালতে পেনডিং সব মামলার দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ এম আমিন উদ্দিন আজ বুধবার বলেন, পেপারবুক প্রস্তুত হলেই রিফাত হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুত শুনানি হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

গত ৪ অক্টোবর এ মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল হাসান সায়মুন।

গত ২৭ অক্টোবর খুলনায় একটি মাদক মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসের রায় ঘোষণা করেছেন জেলার একটি আদালত। দেশের বিচার ব্যবস্থাপনায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় ঘোষণা ঘটনা এটাই প্রথম। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি মো. সম্রাটকে গাজা রাখার অপরাধে ছয় মাস ও ইয়াবা রাখার অপরাধে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর বাগেরহাটের মোংলায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলার একটি আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। সাত কার্য দিবসেই এ মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দ্রুত সময়ে মামলা নিস্পতিতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট টাইম : ০৪:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দ্রুত সময়ে মামলা নিস্পত্তি ও রায় ঘোষণায় বিচার বিভাগের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বাড়ছে। সম্প্রতি খুলনা ও বাগেরহাট আদালতে মাদক ও শিশু ধর্ষণ মামলা দ্রুত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি ও রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পক্ষসমূহকে আইনানুযায়ী সব সুবিধা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি একটি মাইলফলক। এতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিফাত হত্যা মামলাসহ উচ্চ আদালতে পেনডিং সব মামলার দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ এম আমিন উদ্দিন আজ বুধবার বলেন, পেপারবুক প্রস্তুত হলেই রিফাত হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুত শুনানি হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

গত ৪ অক্টোবর এ মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল হাসান সায়মুন।

গত ২৭ অক্টোবর খুলনায় একটি মাদক মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসের রায় ঘোষণা করেছেন জেলার একটি আদালত। দেশের বিচার ব্যবস্থাপনায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় ঘোষণা ঘটনা এটাই প্রথম। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি মো. সম্রাটকে গাজা রাখার অপরাধে ছয় মাস ও ইয়াবা রাখার অপরাধে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর বাগেরহাটের মোংলায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলার একটি আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। সাত কার্য দিবসেই এ মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বাসস