হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই নেত্রীর দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান তিনি। অকুতোভয়ে তাদের জন্য আইনি লড়াই পরিচালনা করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সব প্রভাবশালী নেতার আইনজীবীও ছিলেন তিনি। তবে তাদের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন প্রয়াত স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনি একাধারে যেমন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রতহমানের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন। তেমনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারর পক্ষেও আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন। দেশের ইতিহাসে ও আইন পেশায় এমনটি বিরল। বাংলাদেশের আর কোনো কোনো আইনজীবীর ক্ষেত্রেও এমন নজির নেই।
তিনি লড়েছেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে, পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনারও আইনজীবী ছিলেন, ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীও।
নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন সম্পর্কে জীবিত অবস্থায় ব্যারিস্টার রফিক উল হক জানিয়েছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে পেরেছি। তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও ওয়ান-ইলেভেনের সময় জেল থেকে মুক্ত করে এনেছি। আবার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াকেও জেল থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। এটাই বড় পাওয়া। এখন আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই এ দু’জনের পক্ষেই আইনি লড়াই করেন ব্যারিস্টার রফিক। শুধু এ দুজনেরই নয়, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল জলিলসহ অনেকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। তিনি ওই সময় গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষেও মামলা পরিচালনা করেন।
মানবিক আইনজীবী ও সাদা মনের মানুষ ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রত্যাশা ছিল, একটি সুন্দর বাংলাদেশের চেহারা দেখার। সেই ভাবনায় অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে বলেও মূল্যায়ন করেছিলেন। তার আশা ছিল দেশ আরও ভালো হবে। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এই দেশে একদিন হানাহানি, সহিংসতা আর রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান হবে।