ভারতের সাথে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তির ফলে বাংলাদেশ তার নিকটতম প্রতিবেশীর কাছ থেকে ১০ হাজার ৫০ দশমিক ৬৩ একর জমি বেশি পাবে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া আজ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ১১১টি ছিটমহল পাবে যার মোট আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। অন্যদিকে, ভারত পাবে ৫১টি ছিটমহল, যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর।”
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত প্রটৌকল অনুসমর্থনের পর এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখন্ডে অবস্থিত ছিটমহলগুলো বাংলাদেশ পাবে এবং ভারতের ভূখন্ডের মধ্যে অবস্থিত ছিটমহলগুলো ভারত পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে যে ছিটমহলগুলো পাবে সেগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৬ জন এবং ভারত যে ছিটমহলগুলো পাবে সেগুলোর জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের ছিটমহলে বসবাসকারী কোন ভারতীয় নাগরিক ইচ্ছা করলে সেখানেই থাকতে পারবে। তবে তাকে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নিতে হবে।
আবার ভারতের ছিটমহলে বসবাসকারী কোন বাংলাদেশী সেখানেই থাকতে চাইলে তাকে ভারতের নাগরিকত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, ছিটমহলে বসবাসকারীদের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব দুই দেশের দখলে থাকা অমীমাংসিত জমি সম্পর্কে বলেন, ভারতের দখলে ছিল বাংলাদেশের ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৮৮ একর জমি। আর বাংলাদেশের দখলে ছিল ভারতের ২ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৪ একর জমি। চুক্তি অনুমোদনের পর এই জমি বিনিময় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রটোকলের অধীনে আঙ্গরপোতা-দহগ্রামে ছিটমহলে বসবাসকারীরা তিনবিঘা করিডোর দিয়ে এখন সবসময় চলাচল করতে পারবে। এখন প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বেশির ভাগ জায়গা চিহ্নিত থাকলেও ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করা ছিল না। প্রটোকল অনুমোদনের পর এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতকে এখন এই মূল চুক্তি ও প্রটোকলে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরকালে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল বিনিময় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ছিটমহল বিনিময় ও অমীমাংসিত সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৮ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী এ স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ঐতিহাসিক এ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা-ের পর এ ব্যাপারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
চুক্তিটি বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন ছিল।এ জন্য পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়া হয়। ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হয়েছে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া আজ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ১১১টি ছিটমহল পাবে যার মোট আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। অন্যদিকে, ভারত পাবে ৫১টি ছিটমহল, যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর।”
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত প্রটৌকল অনুসমর্থনের পর এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখন্ডে অবস্থিত ছিটমহলগুলো বাংলাদেশ পাবে এবং ভারতের ভূখন্ডের মধ্যে অবস্থিত ছিটমহলগুলো ভারত পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে যে ছিটমহলগুলো পাবে সেগুলোর জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৬ জন এবং ভারত যে ছিটমহলগুলো পাবে সেগুলোর জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের ছিটমহলে বসবাসকারী কোন ভারতীয় নাগরিক ইচ্ছা করলে সেখানেই থাকতে পারবে। তবে তাকে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নিতে হবে।
আবার ভারতের ছিটমহলে বসবাসকারী কোন বাংলাদেশী সেখানেই থাকতে চাইলে তাকে ভারতের নাগরিকত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, ছিটমহলে বসবাসকারীদের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব দুই দেশের দখলে থাকা অমীমাংসিত জমি সম্পর্কে বলেন, ভারতের দখলে ছিল বাংলাদেশের ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৮৮ একর জমি। আর বাংলাদেশের দখলে ছিল ভারতের ২ হাজার ৭৭৭ দশমিক ১৪ একর জমি। চুক্তি অনুমোদনের পর এই জমি বিনিময় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রটোকলের অধীনে আঙ্গরপোতা-দহগ্রামে ছিটমহলে বসবাসকারীরা তিনবিঘা করিডোর দিয়ে এখন সবসময় চলাচল করতে পারবে। এখন প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বেশির ভাগ জায়গা চিহ্নিত থাকলেও ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করা ছিল না। প্রটোকল অনুমোদনের পর এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতকে এখন এই মূল চুক্তি ও প্রটোকলে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরকালে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল বিনিময় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ছিটমহল বিনিময় ও অমীমাংসিত সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৮ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী এ স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ঐতিহাসিক এ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা-ের পর এ ব্যাপারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
চুক্তিটি বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন ছিল।এ জন্য পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়া হয়। ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হয়েছে।