ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্তব্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • ২৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদের সার্বভৌমত্ব ও মালিকানা আল্লাহর, আর মানুষ তার তত্ত্বাবধায়ক মাত্র। সুতরাং এখানে সরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষ সবাই ভাই ভাই। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা-স্নেহ, সৌহার্দ ও বিশ্বস্ততায় ভরপুর। উভয়কে বলা হয়েছে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীল হতে। সরকারি চাকরিজীবী অথবা মালিক বা শুধু শ্রমিক নয়; বরং উভয়কে সুসংহত আচরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্তব্য সম্পর্কে বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য নিচে কিছু হাদিস বর্ণনা করা হলো-

১. হাদিস: হজরত আবু মুসা (রা.) হতে বর্ণিত। যখন রাসূলুল্লাহ (স.) তার কোনো সঙ্গীকে কোনো কাজে পাঠাতেন তিনি বলতেন, মানুষকে কষ্ট দেবে না, ঘৃণা করবে না, সুসংবাদ দেবে। (বোখারি, মুসলিম)

২. হাদিস: হজরত আবু মুসা আশয়ারি (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, বিশ্বস্ত মুসলিম ধনাগার রক্ষক এ ব্যক্তি যাকে যা দেয়ার আদেশ করা হয়। সে তাকে তা পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট চিত্তে দেয়। যাকে যা দেয়ার আদেশ করা হয়, দান প্রদানকারীর অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে তাকে তা দেয়। (বোখারি)

৩. হাদিস: হজরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখনই আমার গভর্নরগণকে পাঠাতাম, তখনই তাদের কাছে হতে এ চুক্তি নিয়েছি, ‘তুরস্কের (উত্তম) অশ্বে আরোহণ করবে না, মিহি আটার রুটি ভক্ষণ করবে না। সরু বস্ত্র পরিধান করবে না এবং মানবের প্রয়োজনের সময় তাদের (দয়ার) দ্বার বন্ধ করে রাখবে না। এর কোনো একটি করলে তোমাদের প্রতি শাস্তি বৈধ হবে।’ অতঃপর তাদের আমি তা ঘোষণা করে দিতাম। (বাইহাকি)

৪. হাদিস: হজরত আবু বোরদাহ (রা) হতে বর্ণিত। আবু মুসা ও মোয়াজকে রাসূলুল্লাহ (স.) ইয়েমেনে পাঠানোর সময় বলেছেন, শান্তি দেবে, দুঃখ নয়; সুসংবাদ দেবে, দুঃসংবাদ নয়; রাত্রিতে একতাবদ্ধভাবে বাস করবে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়। (বোখারি, মুসলিম)

৫. হাদিস: হজরত ওক্বাহ বিন আমের (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, (অন্যায়ভাবে) খাজনা আদায়কারী অর্থাৎ জনগণ হতে ‘ওশর’ (দশমাংশ) আদায়কারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। (আবু দাউদ)

হাদিসগুলো ‘বিষয় ভিত্তিক হাদীসে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ বই থেকে সংগৃহিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্তব্য

আপডেট টাইম : ০২:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদের সার্বভৌমত্ব ও মালিকানা আল্লাহর, আর মানুষ তার তত্ত্বাবধায়ক মাত্র। সুতরাং এখানে সরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষ সবাই ভাই ভাই। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা-স্নেহ, সৌহার্দ ও বিশ্বস্ততায় ভরপুর। উভয়কে বলা হয়েছে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীল হতে। সরকারি চাকরিজীবী অথবা মালিক বা শুধু শ্রমিক নয়; বরং উভয়কে সুসংহত আচরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্তব্য সম্পর্কে বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য নিচে কিছু হাদিস বর্ণনা করা হলো-

১. হাদিস: হজরত আবু মুসা (রা.) হতে বর্ণিত। যখন রাসূলুল্লাহ (স.) তার কোনো সঙ্গীকে কোনো কাজে পাঠাতেন তিনি বলতেন, মানুষকে কষ্ট দেবে না, ঘৃণা করবে না, সুসংবাদ দেবে। (বোখারি, মুসলিম)

২. হাদিস: হজরত আবু মুসা আশয়ারি (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, বিশ্বস্ত মুসলিম ধনাগার রক্ষক এ ব্যক্তি যাকে যা দেয়ার আদেশ করা হয়। সে তাকে তা পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট চিত্তে দেয়। যাকে যা দেয়ার আদেশ করা হয়, দান প্রদানকারীর অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে তাকে তা দেয়। (বোখারি)

৩. হাদিস: হজরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখনই আমার গভর্নরগণকে পাঠাতাম, তখনই তাদের কাছে হতে এ চুক্তি নিয়েছি, ‘তুরস্কের (উত্তম) অশ্বে আরোহণ করবে না, মিহি আটার রুটি ভক্ষণ করবে না। সরু বস্ত্র পরিধান করবে না এবং মানবের প্রয়োজনের সময় তাদের (দয়ার) দ্বার বন্ধ করে রাখবে না। এর কোনো একটি করলে তোমাদের প্রতি শাস্তি বৈধ হবে।’ অতঃপর তাদের আমি তা ঘোষণা করে দিতাম। (বাইহাকি)

৪. হাদিস: হজরত আবু বোরদাহ (রা) হতে বর্ণিত। আবু মুসা ও মোয়াজকে রাসূলুল্লাহ (স.) ইয়েমেনে পাঠানোর সময় বলেছেন, শান্তি দেবে, দুঃখ নয়; সুসংবাদ দেবে, দুঃসংবাদ নয়; রাত্রিতে একতাবদ্ধভাবে বাস করবে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়। (বোখারি, মুসলিম)

৫. হাদিস: হজরত ওক্বাহ বিন আমের (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, (অন্যায়ভাবে) খাজনা আদায়কারী অর্থাৎ জনগণ হতে ‘ওশর’ (দশমাংশ) আদায়কারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। (আবু দাউদ)

হাদিসগুলো ‘বিষয় ভিত্তিক হাদীসে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ বই থেকে সংগৃহিত।