প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষকরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম তৈরি করছেন। তাদের সম্মান সবার ওপরে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে এ স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে পারলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রজন্মকে এমনভাবে তৈরি করবেন যেনো তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। জনগণের জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেয়ার মানসিকতা যেনো তারা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
শিক্ষর্থীদের উদ্দেশ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা সবসময় শিক্ষকদের সম্মান করবে। আর আজ যারা স্বর্ণ পদক পেয়েছো তাদের বলতে চাই। এটি শুধু স্বর্ণপদক নয় এটি দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দায়িত্ব।
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে প্রথম ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন সরকারে থেকে ৬টি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। এরপর যারা সরকারে আসে তারা এই প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে। পরে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও প্রক্রিয়া শুরু হয়। একে একে দেশে গড়ে উঠছে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল রাজধানী নয়, সারাদেশ। এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে দেশের সর্বত্র শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে নারী শিক্ষায় অগ্রগতির কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষার হার বাড়ছে। প্রাথমিকে ঝড়ে পড়ার হার কমার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি আগ্রহও বেড়েছে। তা এবারের ইউজিসি স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানেই প্রমাণ হয়। ইউজিসি ২০১১ সালে ৩৭.২১ নারী, ২০১২ সালে ৪০.২১ নারী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দিচ্ছে। এভাবেই মেয়েরা প্রায় সমান সমান হয়ে উঠছে।