ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ফাঁকা সময়ে ভোট সেরে ফেলতে চায় ইসি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাধা দুই পাবলিক পরীক্ষা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৪৬০ বার

দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার পর এবার প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সম্প্রতি নির্বাচন উপযোগী ইউপির তালিকা হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। তবে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ইসি সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, আগামী মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসেই (ফেব্রুয়ারি) এএসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। আর এইএইচএসসি পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন ধারণা দিচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া এই সময়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করবেন। যেকারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা সম্ভবপর না হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মানবকণ্ঠকে বলেন, আইনানুযায়ী মার্চ থেকে জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ইসি সে লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছে। পাবলিক পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে দুই ধাপে এই নির্বাচন সেরে ফেলার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। সে অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার পর মার্চে প্রথম দফা এবং এইইচএসসি পরীক্ষার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হতে পারে।
এবারের প্রস্তুতি জানতে চাইলে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসি সচিবালয়কে ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। মেয়াদ পূর্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কবে, কোথায় ভোট করা যাবে- এ সংক্রান্ত তালিকা আমাদের কাছে আসবে। সব কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। তিনি জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটার যোগ হচ্ছে, যা চূড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এ সময়ে কোনোভাবেই সাধারণ নির্বাচন করা যাবে না। এপ্রিল মাসে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার ফাঁকে উপযুক্ত সময় কখন পাওয়া যাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগের মতো দুই ধাপে ভোট করা হবে, নাকি আরও বেশি ধাপে যেতে হবে তা পর্যালোচনা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকা বিদেশিদের সময় বেঁধে দিলো সরকার

ফাঁকা সময়ে ভোট সেরে ফেলতে চায় ইসি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাধা দুই পাবলিক পরীক্ষা

আপডেট টাইম : ১০:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৬

দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার পর এবার প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সম্প্রতি নির্বাচন উপযোগী ইউপির তালিকা হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। তবে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ইসি সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, আগামী মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসেই (ফেব্রুয়ারি) এএসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। আর এইএইচএসসি পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন ধারণা দিচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া এই সময়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করবেন। যেকারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা সম্ভবপর না হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মানবকণ্ঠকে বলেন, আইনানুযায়ী মার্চ থেকে জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ইসি সে লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছে। পাবলিক পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে দুই ধাপে এই নির্বাচন সেরে ফেলার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। সে অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার পর মার্চে প্রথম দফা এবং এইইচএসসি পরীক্ষার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হতে পারে।
এবারের প্রস্তুতি জানতে চাইলে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসি সচিবালয়কে ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। মেয়াদ পূর্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কবে, কোথায় ভোট করা যাবে- এ সংক্রান্ত তালিকা আমাদের কাছে আসবে। সব কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। তিনি জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটার যোগ হচ্ছে, যা চূড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এ সময়ে কোনোভাবেই সাধারণ নির্বাচন করা যাবে না। এপ্রিল মাসে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার ফাঁকে উপযুক্ত সময় কখন পাওয়া যাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগের মতো দুই ধাপে ভোট করা হবে, নাকি আরও বেশি ধাপে যেতে হবে তা পর্যালোচনা করা হবে।