মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি? নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ চেয়ে টানা তিন মাসের সহিংস হরতাল অবরোধে ব্যর্থতার চোরাবালিতে ডুবন্ত বিএনপি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই কি ভাবছে? রাজনীতির অন্দর মহলে নানা আলোচনা চলছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতকে ছেড়ে দিয়ে মধ্যপন্থা নীতি নিয়ে রাজনীতিতে নতুন পথ হাঁটতে এ বছরের শেষে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে চান খালেদা জিয়া। এখানে দলকে ঢেলে সাজানোই নয়; মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারমুক্ত করে মহাসচিব পদে আনতে চান। পশ্চিমা ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দুনিয়ার সঙ্গে অতীতের ভুল ব্যর্থতা খতিয়ে নতুন সম্পর্কের সুতোও বাঁধতে চান।
বিএনপির মুখপাত্র দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সরকার যদি মনে করে ২০১৪ সালের মতো ২০১৯ সালেও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে তাহলে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বসবাস করার শামিল হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সরকারের সব খারাপ নীতি, পদক্ষেপের সমালোচনা করছে। প্রতিবাদও জানাবে- সাংবিধানিক সীমার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি আস্থা অব্যাহত রেখেই হাজির হয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এর আগে টানা তিন মাসের অবরোধের ইতি টেনে তিনি যখন সংবাদ সম্মেলন করে আদালতে গিয়ে জামিন নেন এবং নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন তখন অনেকেই এর নেপথ্যে সরকারের সঙ্গে বিএনপি নেত্রীর অবরোধ থেকে বেরোবার এক্সিট রুট হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকে সূক্ষ্ম সমঝোতার ইঙ্গিত খুঁজেছেন। আসাদুজ্জামান রিপনের বক্তৃতা অনেককেই ভাবিয়েছে এই জায়গায় যে, বিএনপি আন্দোলনের পথে না হেঁটে, দল গুছানোর পথে হাঁটতে যাচ্ছে। বিবৃতি আর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের ‘অগণতান্ত্রিক’ কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয়ের সমালোচনা করবে। ইতিমধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের কারাগারে শরীর ভালো যাচ্ছে না। তাদেরও জামিনে মুক্তি চাইছে বিএনপি। সারাদেশের নেতাকর্মীরা মামলার জালে বন্দি। তাদেরও জামিন দরকার। মামলা ও কারাগারের আতঙ্কে অনেক নেতাকর্মী ফেরারি, কেউবা দেশান্তরী। তারাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। দলও চায় তাদের পাশে পেতে। ঢাকা মহানগর বিএনপি আন্দোলনেই ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি; নির্বাচনেও দিয়েছে। ভোট ডাকাতি কারচুপির অভিযোগে বর্জন করলেও অনিয়ম রুখে দাঁড়াবার মতো শক্তি নিয়ে নামতে পারেনি। কার্যত বিএনপির সাংগঠনিকভাবে কোমর ভেঙে গেছে। সরকারের দমন নীতির বাইরে এসে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অনেকেই মনে করছেন, ২০১৯ সালের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়। শাসকদের এমন বক্তব্যকে মেনে নিয়েই বিএনপি রাজনীতিতে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে পথ হাঁটার কৌশল নিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ বিদেশে প্রশ্ন উঠলেও সহিংস হরতাল অবরোধ দিয়ে বিএনপি জোট রুখতে পারেনি। টানা এক বছর বিরতি দিয়ে ফের সরকার পতনে নামলেও বিফল হয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে। মাঝখানে সরকার প্রশাসনসহ সর্বত্র তার কর্তৃত্বই প্রতিষ্ঠা করেনি; জাতীয়ভাবে উন্নয়নের স্লোগান ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। গণতন্ত্রের পথ এড়িয়ে চললেও প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হজমই করেনি, বিএনপি নেতৃত্বকে আদালতমুখী করেছে। নেতাকর্মীরা এত মামলার জালে আটকা, জামিন নিতেই বাকি তিন বছর চলে যাবে। এ বছরের শেষে দলের কাউন্সিল করে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে যখন চাইবে সরকার তখন এই মেয়াদের দুই বছর পার করবে। সেই সময় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন দলীয়ভাবে দিয়ে বসবে। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন প্রণয়ন হতে যাচ্ছে। বিএনপিকে ভোটের ফাঁদে ব্যস্ত রেখেই ভিশন-২০২১ এর দিকে হাঁটবে সরকার। এরই মধ্যে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মামলায় দণ্ডিত হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়লে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপিতে ভাঙনের সুর সরকার তুলতে পারে কিনা- সেটিই দেখার বিষয়। বিএনপির যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন পশ্চিমাদের চাপে আর তাদের আন্দোলনে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে তারাও এখন হতাশ। অন্যদিকে আন্দোলনে বিএনপির করুণ পরিণতি দেখে সরকার আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী। মেয়াদ পার করেই নির্বাচন দেবে এবং সেই নির্বাচনেও রাজনীতির দাবা খেলায় জিতে ক্ষমতায় ফিরে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। তার আগের বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব করবে।
বিএনপির মুখপাত্র দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সরকার যদি মনে করে ২০১৪ সালের মতো ২০১৯ সালেও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে তাহলে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বসবাস করার শামিল হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সরকারের সব খারাপ নীতি, পদক্ষেপের সমালোচনা করছে। প্রতিবাদও জানাবে- সাংবিধানিক সীমার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি আস্থা অব্যাহত রেখেই হাজির হয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এর আগে টানা তিন মাসের অবরোধের ইতি টেনে তিনি যখন সংবাদ সম্মেলন করে আদালতে গিয়ে জামিন নেন এবং নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন তখন অনেকেই এর নেপথ্যে সরকারের সঙ্গে বিএনপি নেত্রীর অবরোধ থেকে বেরোবার এক্সিট রুট হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকে সূক্ষ্ম সমঝোতার ইঙ্গিত খুঁজেছেন। আসাদুজ্জামান রিপনের বক্তৃতা অনেককেই ভাবিয়েছে এই জায়গায় যে, বিএনপি আন্দোলনের পথে না হেঁটে, দল গুছানোর পথে হাঁটতে যাচ্ছে। বিবৃতি আর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের ‘অগণতান্ত্রিক’ কর্মকাণ্ডসহ নানা বিষয়ের সমালোচনা করবে। ইতিমধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের কারাগারে শরীর ভালো যাচ্ছে না। তাদেরও জামিনে মুক্তি চাইছে বিএনপি। সারাদেশের নেতাকর্মীরা মামলার জালে বন্দি। তাদেরও জামিন দরকার। মামলা ও কারাগারের আতঙ্কে অনেক নেতাকর্মী ফেরারি, কেউবা দেশান্তরী। তারাও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। দলও চায় তাদের পাশে পেতে। ঢাকা মহানগর বিএনপি আন্দোলনেই ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি; নির্বাচনেও দিয়েছে। ভোট ডাকাতি কারচুপির অভিযোগে বর্জন করলেও অনিয়ম রুখে দাঁড়াবার মতো শক্তি নিয়ে নামতে পারেনি। কার্যত বিএনপির সাংগঠনিকভাবে কোমর ভেঙে গেছে। সরকারের দমন নীতির বাইরে এসে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অনেকেই মনে করছেন, ২০১৯ সালের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়। শাসকদের এমন বক্তব্যকে মেনে নিয়েই বিএনপি রাজনীতিতে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে পথ হাঁটার কৌশল নিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ বিদেশে প্রশ্ন উঠলেও সহিংস হরতাল অবরোধ দিয়ে বিএনপি জোট রুখতে পারেনি। টানা এক বছর বিরতি দিয়ে ফের সরকার পতনে নামলেও বিফল হয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে। মাঝখানে সরকার প্রশাসনসহ সর্বত্র তার কর্তৃত্বই প্রতিষ্ঠা করেনি; জাতীয়ভাবে উন্নয়নের স্লোগান ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। গণতন্ত্রের পথ এড়িয়ে চললেও প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হজমই করেনি, বিএনপি নেতৃত্বকে আদালতমুখী করেছে। নেতাকর্মীরা এত মামলার জালে আটকা, জামিন নিতেই বাকি তিন বছর চলে যাবে। এ বছরের শেষে দলের কাউন্সিল করে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে যখন চাইবে সরকার তখন এই মেয়াদের দুই বছর পার করবে। সেই সময় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন দলীয়ভাবে দিয়ে বসবে। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন প্রণয়ন হতে যাচ্ছে। বিএনপিকে ভোটের ফাঁদে ব্যস্ত রেখেই ভিশন-২০২১ এর দিকে হাঁটবে সরকার। এরই মধ্যে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মামলায় দণ্ডিত হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়লে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপিতে ভাঙনের সুর সরকার তুলতে পারে কিনা- সেটিই দেখার বিষয়। বিএনপির যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন পশ্চিমাদের চাপে আর তাদের আন্দোলনে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে তারাও এখন হতাশ। অন্যদিকে আন্দোলনে বিএনপির করুণ পরিণতি দেখে সরকার আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী। মেয়াদ পার করেই নির্বাচন দেবে এবং সেই নির্বাচনেও রাজনীতির দাবা খেলায় জিতে ক্ষমতায় ফিরে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। তার আগের বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব করবে।