হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এতে ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আইন অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দাবি করেন।
এরপর আসামিপক্ষে নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী সাহেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। তাদের যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত অবস্থায় ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ রোববার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে বুধবার ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন সাহেদ। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান তিনি। এরপর আদালত যুক্তিতর্কের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছিলেন।
গত ২৭ আগস্ট একই আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওই দিনই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলমের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এই মামলায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. শায়রুল এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৩ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত।
সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই আটক করে র্যাব। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনার ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনার চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।