হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দু’জন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন।
সাক্ষীরা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল ইসলাম। এ নিয়ে চার কার্যদিবসে মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় বাদীর সাক্ষীর মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এরও আগে গত ২৭ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ১০ আগস্ট এ মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আমলে নেন আদালত। গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করা হয়। গত ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করোনা টেস্ট প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করে র্যাব।
মামলায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন এ মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে ডিবি পুলিশ সাহেদকে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে। সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।