ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ভারত-বাংলাদেশে ভূমিকম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩৮১ বার

বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শিগগিরই আবারো ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। অস্থির ভূ-স্তরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিজ্ঞানীরা কিছুদিন ধরেই ভূমিকম্পের আশঙ্কা করে আসছিলেন, যা সত্য প্রমাণ হলো সোমবার ভোরে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূকম্পনের মধ্যদিয়ে। ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির নিচে ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেট একে অপরের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। এক একটা সময় এই দু’টি প্লেট একটি অন্যটির ওপর পিছলে গেলে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। তারই ফল ভূমিকম্প। ওই একটি প্লেট আর একটি প্লেটের নিচে যত শক্তিতে ঢুকে যাবে, ভূমিকম্পের মাত্রাও তত বেশি হবে। কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, একটি প্লেট আর একটি প্লেটের ওপর উঠে যাওয়া কিংবা পিছলে নিচে চলে যাওয়াটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ব্যাপার। বহু বছর পর পর এমনটা হয়ে থাকে। তিনি জানান, যখন বিষয়টা ঘটে তখন ঘন ঘন গোটা অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। একটা বা দুটো বড় ধরনের ভূমিকম্প মাটির তলায় চলতে থাকা ক্রমবর্ধমান অস্থিরতাকে হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেয়। তার জন্য একটা বড় ভূমিকম্পের পরে গোটা অঞ্চলে পর পর অনেকগুলো ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে, যেমনট হয়েছে মণিপুরের ক্ষেত্রে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এক ভূ-বিজ্ঞানীর মন্তব্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূস্তর যে অবস্থায় রয়েছে তাতে আমরা ৬.৮ মাত্রার থেকেও বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছি। এ অঞ্চলে আরো বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে যাচ্ছে। সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ওই ভূ-বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে যেভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শৈলশহরগুলোতে বহুতল হয়েছে তাতে পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে। মেঘালয়ের পাহাড়ে ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে এমন ইঙ্গিত ভূ-বিজ্ঞানীরা দিয়ে রেখেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে ভারত-বাংলাদেশে ভূমিকম্প

আপডেট টাইম : ১০:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৬

বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শিগগিরই আবারো ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। অস্থির ভূ-স্তরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিজ্ঞানীরা কিছুদিন ধরেই ভূমিকম্পের আশঙ্কা করে আসছিলেন, যা সত্য প্রমাণ হলো সোমবার ভোরে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূকম্পনের মধ্যদিয়ে। ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির নিচে ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেট একে অপরের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। এক একটা সময় এই দু’টি প্লেট একটি অন্যটির ওপর পিছলে গেলে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। তারই ফল ভূমিকম্প। ওই একটি প্লেট আর একটি প্লেটের নিচে যত শক্তিতে ঢুকে যাবে, ভূমিকম্পের মাত্রাও তত বেশি হবে। কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, একটি প্লেট আর একটি প্লেটের ওপর উঠে যাওয়া কিংবা পিছলে নিচে চলে যাওয়াটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ব্যাপার। বহু বছর পর পর এমনটা হয়ে থাকে। তিনি জানান, যখন বিষয়টা ঘটে তখন ঘন ঘন গোটা অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। একটা বা দুটো বড় ধরনের ভূমিকম্প মাটির তলায় চলতে থাকা ক্রমবর্ধমান অস্থিরতাকে হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেয়। তার জন্য একটা বড় ভূমিকম্পের পরে গোটা অঞ্চলে পর পর অনেকগুলো ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে, যেমনট হয়েছে মণিপুরের ক্ষেত্রে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এক ভূ-বিজ্ঞানীর মন্তব্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূস্তর যে অবস্থায় রয়েছে তাতে আমরা ৬.৮ মাত্রার থেকেও বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছি। এ অঞ্চলে আরো বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে যাচ্ছে। সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ওই ভূ-বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে যেভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শৈলশহরগুলোতে বহুতল হয়েছে তাতে পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে। মেঘালয়ের পাহাড়ে ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে এমন ইঙ্গিত ভূ-বিজ্ঞানীরা দিয়ে রেখেছেন।