হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারাবিশ্ব। যার প্রথম লক্ষণ জ্বর। তাইতো এখন জ্বর হলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাই বলে থেমে নেই মানুষের কর্ম। সতর্কতা মেনেই চলছে অফিস। তবে জ্বর নিয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা সাধারণ মানুষ ভেতরে যাচ্ছেন কি না সেটা তদারকি করা হয়।
তাইতো বহু প্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পিস্তলের মতো এই ছোট যন্ত্রটা কপালের দিকে তাক করলেই শরীরের তাৎক্ষণিক তাপমাত্রা তাতে ধরা পড়ছে।
কিন্তু তাপমাত্রা মাপার এই স্ক্যানারটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক চলছে বিশ্বজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমান আলোড়ন। অনেকের দাবি, এটি মস্তিষ্কের এবং চোখের চরম ক্ষতি করে। তাই এটি দিয়ে শিশুদের তাপমাত্রা মাপলে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে। আরেকটি পক্ষের অভিমত, এই যন্ত্রটি একদম ‘নির্দোষ’।
সাধারণ মানুষ যতই বিতর্ক করুক না কেন, গবেষকরা বলছেন, এই তাপমাত্রা যন্ত্র নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কিছু নেই। এটি কোনো ক্ষতি করে না। শরীরের উপরিভাগ থেকে ইনফ্রারেড রেডিয়েশন পরিমাপ করে এই যন্ত্রটি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। অথচ ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যেগুলোতে এই যন্ত্রগুলো মানুষের মস্তিষ্কে ক্ষতিকর রশ্মি প্রবেশ করিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন দাবি করা হয়েছে। তাদের মতে, পুরো প্রক্রিয়াটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
কিন্তু গবেষকরা বলছেন, মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া ইনফ্রারেড রশ্মি রেকর্ড করে এই যন্ত্র, শরীরের ভেতরে ক্ষতিকর কিছুই প্রবেশ করায় না। তাই ইউটিউবে যেসব তথাকথিত ‘বিশেষজ্ঞ’ অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছেন তাদের এসব অপপ্রচার বন্ধ করা উচিত। এই যন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কোনো গ্ল্যান্ডই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যে কর্মীরা তাপমাত্রা মাপার কাজ করেন তাদের সবার সহযোগিতা করাই উচিত।