ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী রাজাপুর তাঁতশিল্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুরের গাংনীর রাজাপুর গ্রামে প্রায় ৪শ’ তাঁতী পরিবারের বসবাস। এক সময় এই গ্রামের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার কদর ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু, নানা সংকটে এখন আর নেই তাঁতপল্লীর চিরায়ত সেই কর্মচাঞ্চল্য। বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী এই  তাঁতশিল্প।

২৮ বছরে হারিয়ে গেছে ৭ লাখ ১২ হাজার তাঁতি - Sunbd24 - Latest News Update  About DSE, CSE Stock market.

পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া, সুতার দাম বৃদ্ধি এবং সময়ের পরিক্রমায় ইলেকট্রিক তাঁতের দাপটে গুটাতে হচ্ছে পরম্পরার পেশা। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁতীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন।

তাঁতের গ্রাম | 509664 | কালের কণ্ঠ | kalerkantho

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে রাজাপুরের তাঁতের তৈরি কাপড়ের দখলে ছিল এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার পোড়াদহ। কিন্তু বদলে গেছে সেই চিত্র। ইলেকট্রিক তাঁতে পোশাকে বৈচিত্র্য আসা এবং উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় জৌলুস হারাচ্ছে রাজাপুরের তাঁতশিল্প।

Hand loom industry on its way to mitigation - Anandabazar

তাঁতীরা বলছেন, ‘শহর থেকে সুতা নিয়ে এসে বাড়ির সব সদস্যরা মিলে কাজ করেও কোনমতে জীবন চলে তাদের। আগের মতো দাম না থাকায় পড়তে হচ্ছে নানা সংকটে। দিনে ৫শ’ টাকাও বিক্রি হয় না অনেক সময়।’

জেগে ওঠার সম্ভাবনায় রানীরবন্দরের তাঁত – -। সফল বাংলাদেশ ।-

আবার অনেকে বলেন, ‘আগে একটু কাজ চললেও করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ। তাই, সন্তানদেরকে নিয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’

সংকটে কমললগঞ্জের মনিপুরী তাঁত শিল্প

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী এই হস্তশিল্পটি টিকিয়ে রাখতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়াসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। রাজাপুর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক পয়েন্টে যারা কাজ করে, তাদের মতো সরকারি সুযোগ সুবিধা যদি আমরা পেতাম তাহলে কর্মসংস্থান অনেক বেড়ে যেত।’

চিত্র:তাঁতশালত এগৰাকী গাভৰু বোৱনী.JPG - উইকিপিডিয়া

তাঁতীদের সরকারি প্রণোদনা দিতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘সহজ কিস্তিতে ব্যাংক ঋণ যাতে দেয় সে ব্যবস্থা করা হবে। আবার সমবায় হিসেবে করলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী রাজাপুর তাঁতশিল্প

আপডেট টাইম : ০৬:০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুরের গাংনীর রাজাপুর গ্রামে প্রায় ৪শ’ তাঁতী পরিবারের বসবাস। এক সময় এই গ্রামের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার কদর ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু, নানা সংকটে এখন আর নেই তাঁতপল্লীর চিরায়ত সেই কর্মচাঞ্চল্য। বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী এই  তাঁতশিল্প।

২৮ বছরে হারিয়ে গেছে ৭ লাখ ১২ হাজার তাঁতি - Sunbd24 - Latest News Update  About DSE, CSE Stock market.

পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া, সুতার দাম বৃদ্ধি এবং সময়ের পরিক্রমায় ইলেকট্রিক তাঁতের দাপটে গুটাতে হচ্ছে পরম্পরার পেশা। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁতীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন।

তাঁতের গ্রাম | 509664 | কালের কণ্ঠ | kalerkantho

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে রাজাপুরের তাঁতের তৈরি কাপড়ের দখলে ছিল এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার পোড়াদহ। কিন্তু বদলে গেছে সেই চিত্র। ইলেকট্রিক তাঁতে পোশাকে বৈচিত্র্য আসা এবং উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় জৌলুস হারাচ্ছে রাজাপুরের তাঁতশিল্প।

Hand loom industry on its way to mitigation - Anandabazar

তাঁতীরা বলছেন, ‘শহর থেকে সুতা নিয়ে এসে বাড়ির সব সদস্যরা মিলে কাজ করেও কোনমতে জীবন চলে তাদের। আগের মতো দাম না থাকায় পড়তে হচ্ছে নানা সংকটে। দিনে ৫শ’ টাকাও বিক্রি হয় না অনেক সময়।’

জেগে ওঠার সম্ভাবনায় রানীরবন্দরের তাঁত – -। সফল বাংলাদেশ ।-

আবার অনেকে বলেন, ‘আগে একটু কাজ চললেও করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ। তাই, সন্তানদেরকে নিয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’

সংকটে কমললগঞ্জের মনিপুরী তাঁত শিল্প

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী এই হস্তশিল্পটি টিকিয়ে রাখতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়াসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। রাজাপুর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক পয়েন্টে যারা কাজ করে, তাদের মতো সরকারি সুযোগ সুবিধা যদি আমরা পেতাম তাহলে কর্মসংস্থান অনেক বেড়ে যেত।’

চিত্র:তাঁতশালত এগৰাকী গাভৰু বোৱনী.JPG - উইকিপিডিয়া

তাঁতীদের সরকারি প্রণোদনা দিতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘সহজ কিস্তিতে ব্যাংক ঋণ যাতে দেয় সে ব্যবস্থা করা হবে। আবার সমবায় হিসেবে করলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব।