শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আগামী ১১ই জানুয়ারি থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।
ঘোষিত বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করে নতুন গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ৩রা জানুয়ারি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কালোব্যাজ ধারণ করে ক্লাশে যাবে।
তারা কর্মবিরতি কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করবেন। ৭ই জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হবে। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তণের দিনে কোন কর্মসূচি দেয়া হয়নি। পরের দিন ১১ই জানুয়ারি থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। মাকসুদ কামাল বলেন, কর্মসূচি চলাকালে সরকারের তরফে আলোচনার জন্য ডাকা হলেও কর্মসূচি চলবে। বেতন কাঠামো ঠিক করে নতুন করে প্রজ্ঞাপণ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে বেশ কয়েকদফা কর্মবিরতিসহ নিজ নিজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। এরপর একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও বর্জনের হুমকি দেন শিক্ষক নেতার।
এতে উচ্চ শিক্ষায় বেশ শঙ্কার অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফেডারেশন থেকে বলা হয়, শিক্ষকদের দাবিসমূহ বিবেচনা না করেই সম্প্রতি বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়েছে এবং সিলেকশন গ্রেড বাতিল করা হয়েছে। ফলে বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি। উপরন্তু শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রকম কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে দু পক্ষই সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছে।