হলুদ গাঁদায় ভরে উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সবুজ মাঠ। জেলার অর্ধেক ফুল উৎপাদন হয় এ ইউনিয়নে। ত্রিলোচনপুরের বালিয়াডাঙ্গা, বানুড়িয়া, ত্রিলোচনপুর, শাহপুর ঘিঘাটি, বড় ঘিঘাটি ও কালুখালী গ্রামে ব্যাপকভাবে গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চায়নিজ গাঁদা, রাজ গাঁদা ও ফরাসি জাতের গাঁদা। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে লাল, কমলা ও হলুদ গাঁদার। এ ফুল চাষ ও বিক্রি করে এলাকার মানুষ অভাব জয় করেছেন। পেয়েছেন সচ্ছলতার সন্ধান। ফুল চাষে বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনের রঙ। ফুলকে কেন্দ্র করে বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে গড়ে উঠেছে ফুলের হাট। এখানে প্রতিদিন বিকালে গাঁদা ফুলের বিশাল হাট বসে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এখানে আসেন ফুল কিনতে। প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয় এ হাটে। ফুলের হাট বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হলুদ গাঁদার ঝোপা দেখে দূর থেকে মনে হয় হলুদ গালিচা বিছানো হয়েছে। কালীগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফুল চাষিরা এ হাটে ফুল বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন বসা এ হাটে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ফুল ক্রয়-বিক্রয় হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ হাট থেকে ফুল কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রি করেন। ফুল ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন জানান, বালিয়াডাঙ্গার এ ফুলের হাটে ত্রিলোচনপুর, তিল্লা, দাদপুর, ঘিঘাটি, বালিয়াডাঙ্গা, কালুকালী, দুলাল মুন্দিয়া ও শিশের কুঁড় থেকে চাষিরা ফুল বিক্রি করতে আসেন। তিনি জানান, ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় চাষিরা ফুল বিক্রি করতে এ হাটে আসেন। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই এখানে তারা ফুল বিক্রি করতে পারেন। ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ধুম পড়েছে গাঁদা ফুলের মালা গাঁথার। বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েসহ গৃহবধূরা মালা গেঁথে ব্যস্তÍ সময় পার করছেন। তাদের গাঁথা মালা হাটে বিক্রি করা হয়। একাজ করে তারা বাড়তি উপার্জন করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, চলতি বছর কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করা হয়েছে। এর অধিকাংশ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে। ফুল চাষকে কেন্দ্র করে এ ইউনিয়নের অনেকের সচ্ছলতা এসেছে।
সংবাদ শিরোনাম
হলুদ গাঁদায় বদলে গেল জীবনের রঙ
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১১:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০১৬
- ৩৪৮ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ