ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওষুধ নয়, ১১ রোগের প্রতিষেধক জাম্বুরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাম্বুরা খুবই পরিচিত একটি ফল। যা সব মৌসুমে পাওয়া যায় না। মৌসুমি এই ফলটি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। স্বাদ টক-মিষ্টি হওয়ায় খেতেও দারুণ লাগে জাম্বুরা। পুষ্টিগুণেও অনন্য এই ফলটি।

জাম্বুরা সাইট্রাস ফলগুলোর মধ্যে একটি। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের ন্যায় জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-বি রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পুষ্টি উপাদান তো রয়েছেই।

বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড এর পুষ্টিবিদ আছিয়া পারভীন আলী শম্পা জাম্বুরা খাওয়ার জাদুকরী উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

জাম্বুরা উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ফোলিক এসিডের উৎস। আর এই দুটি উপাদানই গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। সুতরাং গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত জাম্বুরা খান।

জাম্বুরাতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, বায়োফ্লাভোনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন এবং এনজাইমস।

জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন-সি দাঁতের ব্যাথা দূর করতে এবং দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং যাদের দাঁতের সমস্যা বেশি তারা খাদ্য তালিকায় জাম্বুরা অন্তর্ভুক্ত করুন।

জাম্বুরাতে রয়েছে সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বর বা কাশি দূর করার প্রাকৃতিক রেমেডিস। সুতরাং একটু জ্বর, কাশি বা ঠাণ্ডা হলেই যারা মুঠো ভর্তি মেডিসিন খেয়ে অভ্যস্ত তারা জাম্বুরা খেলে খুব দ্রুত উপকার পাবেন।

জাম্বুরাতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং হার্টকে ভালো রাখতে জরুরি। এছাড়া জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে পেক্টিন রয়েছে যা আর্টারিয়াল ডিপোজিট ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

পানি পানের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রলাইটস ইম্ব্যালেন্সের কারণে আমাদের মাসেল ক্রাম্প বা পেশী টানের সমস্যায় ভুগতে হয়। আর যাদের প্রায় মাসেল ক্রাম্প অর্থাৎ পেশীতে টান লাগে, তারা নিয়মিত জাম্বুরা বা জাম্বুরার রস খেতে পারেন। জাম্বুরা বেশ ভালো পরিমাণে ইলেক্ট্রলাইটস এবং তরল সরবরাহ করতে পারে।

জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন-সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে, ফলে যারা এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতাতে ভুগছেন তারা প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ জাম্বুরা খান।

যাদের দেহে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক এসিড আছে তারা নিয়মিত জাম্বুরা খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস জাম্বুরার জুস খেলে স্কিন এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জাম্বুরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। ফলে বয়সের ছাপ দূর হয়। এছাড়া জাম্বুরাতে খেলে চুল থাকে সুস্থ এবং সুন্দর।

জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে বায়োফ্লাভোনয়েডস রয়েছে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

যাদের দেহে এল ডি এল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তাদের জন্য জাম্বুরা ভীষণ উপকারী। জাম্বুরাতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ফাইবার ওজন কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সমান উপকারী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ওষুধ নয়, ১১ রোগের প্রতিষেধক জাম্বুরা

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাম্বুরা খুবই পরিচিত একটি ফল। যা সব মৌসুমে পাওয়া যায় না। মৌসুমি এই ফলটি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। স্বাদ টক-মিষ্টি হওয়ায় খেতেও দারুণ লাগে জাম্বুরা। পুষ্টিগুণেও অনন্য এই ফলটি।

জাম্বুরা সাইট্রাস ফলগুলোর মধ্যে একটি। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের ন্যায় জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-বি রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পুষ্টি উপাদান তো রয়েছেই।

বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড এর পুষ্টিবিদ আছিয়া পারভীন আলী শম্পা জাম্বুরা খাওয়ার জাদুকরী উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

জাম্বুরা উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ফোলিক এসিডের উৎস। আর এই দুটি উপাদানই গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। সুতরাং গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত জাম্বুরা খান।

জাম্বুরাতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, বায়োফ্লাভোনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন এবং এনজাইমস।

জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন-সি দাঁতের ব্যাথা দূর করতে এবং দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং যাদের দাঁতের সমস্যা বেশি তারা খাদ্য তালিকায় জাম্বুরা অন্তর্ভুক্ত করুন।

জাম্বুরাতে রয়েছে সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বর বা কাশি দূর করার প্রাকৃতিক রেমেডিস। সুতরাং একটু জ্বর, কাশি বা ঠাণ্ডা হলেই যারা মুঠো ভর্তি মেডিসিন খেয়ে অভ্যস্ত তারা জাম্বুরা খেলে খুব দ্রুত উপকার পাবেন।

জাম্বুরাতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং হার্টকে ভালো রাখতে জরুরি। এছাড়া জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে পেক্টিন রয়েছে যা আর্টারিয়াল ডিপোজিট ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

পানি পানের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রলাইটস ইম্ব্যালেন্সের কারণে আমাদের মাসেল ক্রাম্প বা পেশী টানের সমস্যায় ভুগতে হয়। আর যাদের প্রায় মাসেল ক্রাম্প অর্থাৎ পেশীতে টান লাগে, তারা নিয়মিত জাম্বুরা বা জাম্বুরার রস খেতে পারেন। জাম্বুরা বেশ ভালো পরিমাণে ইলেক্ট্রলাইটস এবং তরল সরবরাহ করতে পারে।

জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন-সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে, ফলে যারা এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতাতে ভুগছেন তারা প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ জাম্বুরা খান।

যাদের দেহে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক এসিড আছে তারা নিয়মিত জাম্বুরা খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস জাম্বুরার জুস খেলে স্কিন এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জাম্বুরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। ফলে বয়সের ছাপ দূর হয়। এছাড়া জাম্বুরাতে খেলে চুল থাকে সুস্থ এবং সুন্দর।

জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে বায়োফ্লাভোনয়েডস রয়েছে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

যাদের দেহে এল ডি এল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তাদের জন্য জাম্বুরা ভীষণ উপকারী। জাম্বুরাতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ফাইবার ওজন কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সমান উপকারী।