হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জে এখন চাঁই তৈরির ধুম পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ শিকার করা হয় এই চাঁই দিয়ে। জেলার রমজানবেগ এলাকার ৬০টি পরিবার চাঁই বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে।
জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই চাঁই বিক্রি হয়। এছাড়া, রমজানবেগের চাঁই বিক্রির জন্য যাচ্ছে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে।
সারা বছর চাঁই তৈরি করা হলেও বর্ষা মৌসুমে ব্যস্ততা বাড়ে এর কারিগরদের। এই মৌসুমকে ঘিরেই সারা বছরের উপার্জন হয়ে থাকে তাদের।
রমজানবেগ এলাকায় পুরুষের সঙ্গে সমানতালে চাঁই তৈরি করছেন নারীরা। চাঁই তৈরির উপকরণ বাঁশ ও মুলি ছেঁটে দিচ্ছেন পরিবারের প্রতিটি নারী। আবার চাঁই বুননেও হাত মেলাচ্ছেন তারা। নারী ও পুরুষের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে একেকটি চাঁই।
চাঁই ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ২ হাজারের মতো চাঁই তৈরি করে থাকেন রমজানবেগ এলাকার ৬০টি পরিবার। চাঁই তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও মুলি সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে আনেন তারা। একেকটি বাঁশ ও মুলির দাম পড়ে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। এরপর তৈরি করা একেকটি চাঁই বাজারে বিক্রি করেন ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়।
চাঁই তৈরির কারিগর মো. মহসিন মিয়া জানান, বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এ শিল্পকে এখনও বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুঁজির অভাবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের অনেক সময় বেকার থাকতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিসিক শিল্পের ক্ষুদ্র ঋণ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা। কখনও তারা বিসিক শিল্পের ক্ষুদ্র ঋণ পান না। সরকারিভাবে ঋণ পেলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।