প্রত্যেক মানুষই চায় তার স্বাস্থ্য যেন অন্য সবার থেকে বেশি না হয় তার জন্য আমরা নানা ধরনের ডায়েট করে থাকি। এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় আমরা বেশি ডায়েট করতে গিয়ে নিজেরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই এই জন্য ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ডায়েট করা উচিত নয়। প্রত্যেকটি মানুষ চায় তার বিয়েতে তাকে যেন অনেক বেশি সুন্দর ও উজ্ঞল দেখাক। আর তা ছাড়া বিয়ে প্রত্যেক নর- নারীর উপর ফরয। তাই এই জন্য অনেক আগে থেকে নিজেকে প্রস্তুতি নিতে হয় বিয়ের জন্য। তাছাড়া বিয়ে হল একটি বিশেষ মুহূর্ত।
আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে বিয়ের আগে নিজেকে সুন্দরভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারব। একটু নিয়মমাফিক চললেই বিয়ের আগে নিজেদের স্বাস্থ্য কমিয়ে ফেলতে পারব। আর সেটা কিভাবে করব নিচে তার কিছু নিয়ম দেওয়া হল।
১. সেট বাস্তবসম্মত লক্ষ্যঃ
নিজেদের একটা টার্গেট লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই, কয়দিনে আমি আমার ওজন কমিয়ে ফেলব তাহলেই সেটা সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই সপ্তাহে ১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। এর জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হলে ও সেটা করতে হবে।
২. চর্বিযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করাঃ
আপনি দ্রুত ফলাফল পেতে চাইলে চর্বিযুক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। ওজন বেশি হলে সেটা দ্রুত শরীর থেকে ঝেরে ফেলতে হবে তাহলেই শরীরের সাথে মানানসই হবে। আপনার সুন্দর একটি শরীরের জন্য নিয়মমাফিক ডায়েট মেনে চলতে হবে এবং সাথে ব্যায়াম করতে হবে।
৩. ক্ষুধার্ত থাকা যাবে নাঃ
আপনি অতিরিক্ত খাবেন না তার জন্য সহজ উপায় হল নিজেকে বুঝাতে হবে যে আপনি একটু আগে খেয়েছেন। সুন্দর এবং স্বাস্থ্যবান একটি ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ, গমের রুটি, ফলের জুস, সবজি, গরম দুধ এইগুলো দিয়ে আপনি সকালের নাস্তা করতে পারেন যা আপনার ব্রেনকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং কাজের প্রতি মনোবল বাড়াবে। একটি ভালো নাস্তা পরবর্তীতে আপনার খাবারের চাহিদা মেটাবে।
৪. মজা করে ব্যায়াম করতে হবেঃ
আপনাকে যে সব সময় শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে তা কিন্তু নয় কেননা সবার শারীরিক ব্যায়াম পছন্দ নাও হতে পারে। যে কাজে আপনি মজা পাবেন না সেই ধরনের ব্যায়াম না করাটা উচিত কারন এর ফলে আপনার ব্রেনে অনেক চাপ পরতে পারে যা পরবর্তীতে ভালোফল নাও আসতে পারে। এই জন্য আপনি নাচ, সাঁতার অথবা যেই জিনিস আপনার বেশি ভালোলাগে সেই ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন।
৫. চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবেঃ
বিয়ের পরিকল্পনা অনেক বেশি চাপমূলক কাজ তাই শান্তভাবে সব কিছু করতে হব। আপনার যদি চিপস, মিষ্টি, চকলেট এইগুলোর প্রতি যদি অনেক বেশি আকর্ষণ থাকে তাহলে ঘরে এগুলো রাখবেন না।
৬. খাদ্য তালিকা মেনে চলবেনঃ
আপনার শরীরের কতটা উন্নতি হয়েছে তা চেক করার জন্য সব সময় এই তালিকা মেনে চলবেন। এই ডাইরিতে আপনি সব কিছু রুটিন মোতাবেক লিখে রাখবেন এর ফলে আপনার কষ্ট করে মনে রাখতে হবে না আপনার যখন খুশি সেটা বের করলেই বুঝতে পারবেন ওজন কতটুকু কমেছে। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পথে চলতে সাহায্য করবে যদি বেতিকক্রম হয় তাহলে আপনি অতি সহজেই বুঝতে পারবেন।