হাওর বার্তা ডেস্কঃ তরুণদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কী কারণে কোলন বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হয়ে থাকে, এ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনাও হচ্ছে।
কোলন ক্যান্সারের কারণ
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এনএইচএসের তথ্যানুযায়ী, এই ক্যান্সারে নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু বিষয় এ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বেশি বয়স, অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের স্বল্পতা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। ব্যায়াম, যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করা, মদ্যপান ও ধূমপান, পারিবারিক ইতিহাস, মলত্যাগের জন্য হাইকমোড ব্যবহার না করা।
কোলন ক্যান্সারের উপসর্গ
এনএইচএসের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, কোলন ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ তিনটি।
মলের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত নির্গত হওয়া
১. মলের সঙ্গে রক্ত নির্গত হয় সাধারণত পাকস্থলীর কার্যক্রমে পরিবর্তন হলে। এ সময়ে রোগী সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মলত্যাগ করে এবং মল অপেক্ষাকৃত তরল হয়ে থাকে।
২. তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা, পেট ফোলা বা অস্বস্তিবোধ করা আরেকটি উপসর্গ। এর সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, খাওয়ার রুচি হারানো বা ওজন হারানোর সংশ্লিষ্টতা থাকে।
এ ছাড়া ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগ করার পরও বারবার মলত্যাগের ইচ্ছা হওয়া বা রক্তে আয়রনের স্বল্পতার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশে কোলন ক্যান্সারের আক্রান্তের হার কেমন ও কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেও কোন কারণে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?
এ বিষয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশে কোন ধরনের ক্যান্সারে মানুষ বেশি ভুগছেন, তার সঠিক তথ্য না থাকলেও কমবয়সীদের মধ্যে এখন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কিছুটা বেশি।
তিনি আরও বলেন, মলত্যাগে হাইকমোডের ব্যবহার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ আমরা মনে করি হাইকমোডে বসে মলত্যাগ করলে মলাশয় পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। প্রয়োজনীয় চাপ না পড়ায় মলদ্বারে কিছুটা মল থেকে যায়। আর মলে অসংখ্য জীবাণু থাকে। ফলে সেই জীবাণু সেখানে থেকে যাওয়ায় কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।