ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইংলিশ ঝড়ে উড়ে গেলো পাকিস্তান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • ২২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝড়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচেও, কিন্তু বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয় সেদিনের খেলা, অমীমাংসিত থেকে যায় ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের লড়াই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি কোনো বাধা হতে পারল না, লড়াইটাও হলো জম্পেশ। যেখানে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের বোলাররা।

রোববার রাতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের করা ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ ৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে ইংলিশরা। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করার নেতৃত্বটা সামনে থেকেই দিয়েছেন অধিনায়ক ইয়র মরগ্যান।

বিশ ওভারে ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং টম ব্যান্টন। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার থেকেই বিনা উইকেটে ৬৫ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বেয়ারস্টো এদিন ছিলেন খুনে মেজাজে।

তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি শাদাব খান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে পরপর দুই বলে সাজঘরে পাঠান ২৪ বলে ৪৪ করা বেয়ারস্টো এবং প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ব্যান্টনকে (১৬ বলে ২০)। একই ওভারে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও কোনো সমস্যা হয়নি ইংলিশদের।

কেননা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেন দুই বাঁহাতি ডেভিড মালান এবং ইয়ন মরগ্যান। দুজন মিলে ১০.২ ওভারে গড়েব ১১২ রানের জুটি। যা কি না ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় পাকিস্তানকে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মরগ্যান।

তার আগে রীতিমতো ঝড় তুলে ৬ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ৩৩ বলে ৬৬ রান করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। মরগ্যানের বিদায়ের সময়ে ১৯ বলে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। যা কি না ১৪ বলেই করে ফেলেছে তারা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন ডেভিড মালান।

এর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী চেহারায় হাজির হয় সফরকারিরা।

বাবর আজম আর ফাখর জামান ৫১ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৭২ রান। প্রথম আট ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। ইনিংসের নবম ওভারে এসে ঝড়ো জুটিটি অবশেষে ভাঙেন আদিল রশিদ।

ওই ওভারেরই প্রথম বলে ইংলিশ লেগস্পিনারকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ফাখর। এক বল বিরতি দিয়ে ফের তুলে মারতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। এবার বলটা আকাশে ভেসে যায়। লং অন বাউন্ডারি থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটা তালুবন্দী করেন ব্যান্টন। ২২ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ফাখর করেন ৩৬ রান।

সঙ্গী হারিয়েও থেমে যাননি বাবর। ৩৭ বলে তুলেন নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি। হাফিজের সঙ্গে তার ২৫ বলে ৪০ রানের জুটিটিও ভাঙেন ওই আদিল রশিদ।

৪৪ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে ডিপ মিডউইকেটে স্যাম বিলিংসের ক্যাচ হন বাবর। এরপর উইকেটে দাঁড়িয়ে যান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিক।

আসল কাজটা অবশ্য করেছেন হাফিজই। তৃতীয় উইকেটে ২৭ বলে ৫০ রানের জুটিতে মালিকের অবদান ছিল মাত্র ১৪ রানের। হাফিজ প্রায় শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে টম কুরানকে তুলে মারতে গিয়ে ইয়ন মরগ্যানের ক্যাচ হন তিনি।

তবে যা করার করে ফেলেছেন ততক্ষণে। ৩৬ বলে হাফিজ খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কাও হাঁকান ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইংলিশ ঝড়ে উড়ে গেলো পাকিস্তান

আপডেট টাইম : ০৯:৫২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝড়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচেও, কিন্তু বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয় সেদিনের খেলা, অমীমাংসিত থেকে যায় ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের লড়াই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি কোনো বাধা হতে পারল না, লড়াইটাও হলো জম্পেশ। যেখানে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের বোলাররা।

রোববার রাতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের করা ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ ৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে ইংলিশরা। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করার নেতৃত্বটা সামনে থেকেই দিয়েছেন অধিনায়ক ইয়র মরগ্যান।

বিশ ওভারে ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং টম ব্যান্টন। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার থেকেই বিনা উইকেটে ৬৫ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বেয়ারস্টো এদিন ছিলেন খুনে মেজাজে।

তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি শাদাব খান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে পরপর দুই বলে সাজঘরে পাঠান ২৪ বলে ৪৪ করা বেয়ারস্টো এবং প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ব্যান্টনকে (১৬ বলে ২০)। একই ওভারে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও কোনো সমস্যা হয়নি ইংলিশদের।

কেননা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেন দুই বাঁহাতি ডেভিড মালান এবং ইয়ন মরগ্যান। দুজন মিলে ১০.২ ওভারে গড়েব ১১২ রানের জুটি। যা কি না ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় পাকিস্তানকে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মরগ্যান।

তার আগে রীতিমতো ঝড় তুলে ৬ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ৩৩ বলে ৬৬ রান করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। মরগ্যানের বিদায়ের সময়ে ১৯ বলে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। যা কি না ১৪ বলেই করে ফেলেছে তারা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন ডেভিড মালান।

এর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী চেহারায় হাজির হয় সফরকারিরা।

বাবর আজম আর ফাখর জামান ৫১ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৭২ রান। প্রথম আট ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। ইনিংসের নবম ওভারে এসে ঝড়ো জুটিটি অবশেষে ভাঙেন আদিল রশিদ।

ওই ওভারেরই প্রথম বলে ইংলিশ লেগস্পিনারকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ফাখর। এক বল বিরতি দিয়ে ফের তুলে মারতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। এবার বলটা আকাশে ভেসে যায়। লং অন বাউন্ডারি থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটা তালুবন্দী করেন ব্যান্টন। ২২ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ফাখর করেন ৩৬ রান।

সঙ্গী হারিয়েও থেমে যাননি বাবর। ৩৭ বলে তুলেন নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি। হাফিজের সঙ্গে তার ২৫ বলে ৪০ রানের জুটিটিও ভাঙেন ওই আদিল রশিদ।

৪৪ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে ডিপ মিডউইকেটে স্যাম বিলিংসের ক্যাচ হন বাবর। এরপর উইকেটে দাঁড়িয়ে যান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিক।

আসল কাজটা অবশ্য করেছেন হাফিজই। তৃতীয় উইকেটে ২৭ বলে ৫০ রানের জুটিতে মালিকের অবদান ছিল মাত্র ১৪ রানের। হাফিজ প্রায় শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে টম কুরানকে তুলে মারতে গিয়ে ইয়ন মরগ্যানের ক্যাচ হন তিনি।

তবে যা করার করে ফেলেছেন ততক্ষণে। ৩৬ বলে হাফিজ খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কাও হাঁকান ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।