ছবি তুলতে ভালোবাসেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্তমানে ফটোগ্রাফি বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। প্রথমে শখের বসে ছবি তুলতে তুলতে একসময় তা নেশায় পরিণত হয়। অবশেষে অনেকে এটি পেশা হিসেবেও বেছে নেন। তবে সত্যিকার আলোকচিত্রী হয়ে ওঠা চাট্টিখানি কথা নয়!
একটি মনমতো ছবি তুলতে আপনি কী কী করতে প্রস্তুত? কোথায় বা কতদূর যাবেন আপনি? তুষার পাহাড়ের দুর্গম চূড়া নাকি জ্বলন্ত লাভার আগুনে পা ডুবিয়ে খুঁজবেন দুর্লভ কোনো মুহূর্ত!
আলোকচিত্রীদের তোলা অসাধারণ সব ছবির আড়ালে হারিয়ে যায় ছবিটি তোলার মুহূর্তগুলো। এবারের ধারাবাহিক আয়োজন দুঃসাহসিক সেসব আলোকচিত্রীদের ছবি তোলার মুহূর্তগুলোর গল্প নিয়ে। যারা বলতে গেলে জীবন বাজি রেখেই ছবি তোলেন। দ্বিতীয় পর্বের ছবিগুলো দেখে নিন।
শুধুই সবুজ। জলের রঙ, জলে ভেসে থাকা পদ্মপাতা আর পদ্মপাতায় বসে থাকা ছোট্ট ব্যাঙটিও। আর এ আলোকচিত্রী বুঝি এত সবুজের মাঝেই খুঁজছেন কোনো অনাবিল সৌন্দর্য।
ছবিটিকে ভয়ঙ্কর বলা যায় নাকি ব্যতিক্রম। কোনটা? তুষারাবৃত কোনো পাহাড়ে ছবি তুলতে গিয়ে ঈগলের থাবা সামলাতে হলো এ আলোকচিত্রীকে। তারপর কী হলো কে জানে!
চারদিকে ধবধবে সাদা বরফ। বরফভুবনে নিরাপদে ছবি তুলতে ইগলু বাড়িই একমাত্র ভরসা। আর এতেই বোকা বনে গেল শেয়াল মামা। এভাবেই অজান্তে লুকিয়ে থাকা আলোকচিত্রীর ‘পারফেক্ট শট’ হয়ে গেল সে!
বাব্বাহ, ক্ষুদে রাজকুমারটির তো বড্ড সাহস! এত কাছ থেকে ভয়াল এ সরীসৃপের ছবি তুলতে একটুও বুক কাঁপছে না তার।
স্বচ্ছ নীল জলে অর্ধনিমগ্ন জেলিফিশকে সঙ্গে নিয়ে মনের সুখে ছবি তুলে যাচ্ছেন সি-সার্ফিংঙের।
ছবিটির নাম ‘অপেক্ষা’ দিলে কেমন হয়? কারণ, মাছরাঙাটি অপেক্ষা করছে পছন্দসই খাবারের আর ফটোগ্রাফার অপেক্ষা করছেন এই রঙিন পাখিটির ‘পারফেক্ট শট’ নেওয়ার।
তুষারে ঢেকে গেছে সারা শরীর। বরফের স্তুপ জমেছে প্রিয় ক্যামেরাতে। তবুও অাপনমনে তুলে যাচ্ছেন ছবি।
ছবিটি একটু অন্যরকম তাই না! চলতে চলতে গাড়িটি বিধ্বস্ত। যেন এখুনি ঝরঝর করে ভেঙে পড়বে। লাল রঙের গাড়িটি ছেয়ে গেছে পথের ধুলোয়। ক্লান্ত হয়ে কাত পড়া গাড়িটির ছবি তোলায় মগ্ন এ তরুণ আলোকচিত্রী। ছবি: ইন্টারনেট