ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • ২০৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ (শনিবার)। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম নেপথ্যের অনুপ্রেরণাদানকারী ও পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা চড়াই-উতরাই এ কারবন্দি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় দলের কাছে পৌছে দিয়েছেন সময়ের সঠিক পরামর্শও।

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ বিদ্রোহী কবির নারী কবিতার, যথার্থ প্রতিফলন যেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হয়ে পরিবার সামলানোর পাশাপাশি দেশের ক্রান্তিকালে পাশে থেকে সাহস যোগানো আর নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। তিন বছর বয়সে বাবা আর পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। অল্প বয়সেই শেখ মুজিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বঙ্গবন্ধু কলেজে পড়ার সময়েই রাজনীতিতে সক্রিয় হন। জেল জুলুম ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই মুজিবের সংগ্রামী জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে যান ছোট্ট রেনু।  বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফূরান প্রেরণার উৎস ছিলেন বেগম মুজিব। দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনা দলের নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি দলকে মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা করতেন।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার আগলে রেখেছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও গ্রেপ্তারের হুমকি পেয়েও কখনো আদর্শচ্যুত হননি। দেশের উত্তাল পরিস্থিতি ও লড়াই সংগ্রামের মধ্যে থেকেও ৫ সন্তানকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেগম মুজিবকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর অবদান ও আত্মত্যাগের কথা  স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আজ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ (শনিবার)। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম নেপথ্যের অনুপ্রেরণাদানকারী ও পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা চড়াই-উতরাই এ কারবন্দি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় দলের কাছে পৌছে দিয়েছেন সময়ের সঠিক পরামর্শও।

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ বিদ্রোহী কবির নারী কবিতার, যথার্থ প্রতিফলন যেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হয়ে পরিবার সামলানোর পাশাপাশি দেশের ক্রান্তিকালে পাশে থেকে সাহস যোগানো আর নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। তিন বছর বয়সে বাবা আর পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। অল্প বয়সেই শেখ মুজিবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বঙ্গবন্ধু কলেজে পড়ার সময়েই রাজনীতিতে সক্রিয় হন। জেল জুলুম ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই মুজিবের সংগ্রামী জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে যান ছোট্ট রেনু।  বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফূরান প্রেরণার উৎস ছিলেন বেগম মুজিব। দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনা দলের নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি দলকে মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা করতেন।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার আগলে রেখেছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও গ্রেপ্তারের হুমকি পেয়েও কখনো আদর্শচ্যুত হননি। দেশের উত্তাল পরিস্থিতি ও লড়াই সংগ্রামের মধ্যে থেকেও ৫ সন্তানকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেগম মুজিবকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর অবদান ও আত্মত্যাগের কথা  স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।