হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে চৌকিদারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পাড়ার বাসিন্দা ফরিদ আলম (৩২), আব্দু শুক্কুর (৪৭) এবং চৌকিদার মো. আলম (৩৩)।
থানা পুলিশের একটি দল ২৮ জুলাই রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
পুলিশ জানায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু চক্র ওসির নাম ভাঙিয়ে অপরাধী ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজন অসাধু চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওসির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে।
প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিনজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে সাহস না পায়।
ওসি জানান, হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালির বাসিন্দা মাইক্রোবাসচালক নুরুল আমিনের কাছ থেকে উকিল পরিচয়ে হেলাল উদ্দীন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল আমিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম। তার স্বামী নুরুল আমিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ক্রসফায়ার দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হেলাল উদ্দীন চাঁদা আদায় করা হয় বলে ছালেহা অভিযোগে উল্লেখ করেন।
তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি প্রদীপ।