সরকারি চাকরিদের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে একটি প্রস্তাব আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে কয়েকটি মন্ত্রণালয়েরে সচিবদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমানে অবসরের বয়সসীমা মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের ৬০ ও অন্যদের ৫৯ বছর।
সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে, যা মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬১ বছর করার আরেকটি প্রস্তাবও মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রকাশ করেন।
এর আগে সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও। রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ গত ১৬ নভেম্বর ওই আদেশ দেন।
২০০৬ সালের ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ওই নির্দেশনা প্রতিপালন না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদার ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। পরে আরও ৬৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা ওই রিট আবেদনে পক্ষভুক্ত হন।