বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর মাধ্যমে পুরুষ চিকিৎসকরা সেনাবাহিনীতে পদপ্রার্থী মহিলার যোনি পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষায় উতরে গেলে তবেই খোলে সেনাবাহিনীর দরজা। ইন্দোনেশিয়া সরকারের যুক্তি হল, জাতীয় নিরাপত্তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। যদিও এহেন যুক্তির কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছে না মানবাধিকার সংগঠনগুলো। প্রক্রিয়াটি অবিলম্বে বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছে তারা।
কী ভাবে পরীক্ষা করা হয়?
একটি ঘরে একের পর এক মহিলা প্রার্থীকে ঢোকানো হয়। সেখানে থাকে কয়েকজন পুরুষ চিকিৎসক। তারা ওই মহিলাদের যৌন উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। এরপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর মাধ্যমে দেখা হয় যোনি অক্ষত কিনা। কোনও সেনা আধিকারিকের প্রেমিকা সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে, তাঁকেও এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ছাড়পত্র আদায় করতে হয়।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সরকারের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা করা হয়। শুধু যৌন সঙ্গম করলেই যে যোনি-পর্দা ছেঁড়ে, তা নয়। অনেক সময় অভ্যাস দোষ বা অন্য কোনও কারণেও পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে।
এমনকি এহেন অমানবিক পরীক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ার বহু যুবতী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেই চান না। সেনা আধিকারিকদের স্ত্রীদের কথায়,’এটা শুধু অমানবিক-ই নয়, এক ধরনের অত্যাচার।’