যা বললেন মারুফ কামাল

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পর এবার মুখ খুললেন তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ সংরক্ষণ করেন বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। তিনিই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন করেন। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নে শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান। মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সংখ্যার বিতর্কের বিষয়ে মন্তব্য করে মারুফ কামাল খান। এই বিবৃতিতে সোমবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া শহীদ সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে যে বক্তব্য দেন তার সমালোচনাকে নাকচ করে দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা আওয়ামী লীগ সরকার করলে সংখ্যা নিয়ে আর বিতর্ক থাকতো না। কিন্তু তারা সেটা করেনি। তাই সংখ্যা-বিতর্ক চলে আসছে। এই বিতর্কের কথাটা বললে শহীদদের অবদান বা মুক্তিযুদ্ধের মহিমা ক্ষুন্ন হয় না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।” বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণের জন্য আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন মারুফ কামাল খান। মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নে বিএনপির অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার উদ্যোগ নেন শহীদ জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্প গঠন ও দলিলপত্র সংরক্ষণের উদ্যোগ তিনি নেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন করেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনিই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহন করেন।” বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিএনপির অঙ্গীকার নিয়ে সমালোচনাকে নাকচ করে দেন মারুফ কামাল খান। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকারী জিয়াউর রহমানের দল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তি কিনা সেই সার্টিফিকেট এখন তারা দিচ্ছ যাদের সক্ষমতা থাকা সত্বেও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি অথবা সে সময় নাবালক ছিল।”

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর