ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত জাগলেই বাড়বে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • ১৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ছোটরাও এর থেকে মুক্ত নয়। এর কারণ কি জানেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ হতে পারে রাত জাগার অভ্যাস।

বিশেষ করে কিশোর বয়সে রাত জাগার অভ্যাস থেকে হাঁপানি ও অ্যালার্জিতে ভোগার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। আর এই তথ্য উঠে এসেছে কানাডা’র ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টার এক গবেষণায়।

এই গবেষণা মতে, রাত জাগার বদভ্যাস বাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি ও সংক্রমণের ঝুঁকি এবং ডেকে আনে হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। গবেষণার নেতৃত্ব দেন পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের ডা. শুভব্রত মৈত্র।

১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ১৬৮৪ জন কিশোর-কিশোরী এই গবেষণায় অংশ নেয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয় তাদের ঘুমের অভ্যাস, দিনের কোন সময় তাদের সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগে, সচরাচর কোন সময়ে তারা ঘুম থেকে ওঠে ইত্যাদি সম্পর্কে।

পরবর্তীতে সময়ে তাদের হাঁচি-কাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট, অ্যালার্জির সমস্যা, ধূমপানের বদভ্যাস ইত্যাদি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যারা রাতে সময়মত ঘুমায় তাদের তুলনায় যারা দেরি করে ঘুমায় তাদের হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তিনগুণ বেশি।

রাতজাগা আর শ্বাসতন্ত্রের জটিলতার মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকলেও গবেষকদের দাবি, ঘুমের অনিয়ম হওয়ায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে অ্যালার্জি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার সম্পর্ক আছে।

ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হলো ‘মেলাটনিন’। যখনই কেউ ঘুমের স্বাভাবিক নিয়ম ভাঙে তখন এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর কারণে শরীরের ওপর বিভিন্ন প্রভাব পড়ে। যেমন- ক্লান্তি, বদমেজাজ, অ্যালার্জি, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সমস্যার আরেকটি কারণ হলো ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। এই রোগে ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়ার অবস্থা হয়। সব বয়সের হাঁপানি রোগীর সঙ্গেই এমনটা হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যা করতে পারেন-

> সাত থেকে আট ঘণ্টার নির্ভেজাল ঘুম সব বয়সের মানুষকেই নিশ্চিত করতেই হবে।

> শোয়ার ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।

> অতিরিক্ত বাঁকা হয়ে ঘুমানো উচিত না। খেয়াল রাখতে হবে ঘুমানোর ভঙ্গির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়।

> ঘরের বাতাস অস্বাস্থ্যকর হলে এয়ার পিউরিফায়ার বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন।

> ঘুমের স্বাস্থ্যকর নিয়ম গড়তে হবে এবং তা শক্তভাবে মেনে চলতে হবে।

> ডিজিটাল স্ক্রিনটাইম কমাতে হবে। ঘুমানোর আগে মোবাইল চালানো বন্ধ করতে হবে।

> ঘুমে সহায়ক প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাত জাগলেই বাড়বে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যা

আপডেট টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ছোটরাও এর থেকে মুক্ত নয়। এর কারণ কি জানেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ হতে পারে রাত জাগার অভ্যাস।

বিশেষ করে কিশোর বয়সে রাত জাগার অভ্যাস থেকে হাঁপানি ও অ্যালার্জিতে ভোগার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। আর এই তথ্য উঠে এসেছে কানাডা’র ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টার এক গবেষণায়।

এই গবেষণা মতে, রাত জাগার বদভ্যাস বাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি ও সংক্রমণের ঝুঁকি এবং ডেকে আনে হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। গবেষণার নেতৃত্ব দেন পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের ডা. শুভব্রত মৈত্র।

১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ১৬৮৪ জন কিশোর-কিশোরী এই গবেষণায় অংশ নেয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয় তাদের ঘুমের অভ্যাস, দিনের কোন সময় তাদের সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগে, সচরাচর কোন সময়ে তারা ঘুম থেকে ওঠে ইত্যাদি সম্পর্কে।

পরবর্তীতে সময়ে তাদের হাঁচি-কাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট, অ্যালার্জির সমস্যা, ধূমপানের বদভ্যাস ইত্যাদি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যারা রাতে সময়মত ঘুমায় তাদের তুলনায় যারা দেরি করে ঘুমায় তাদের হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তিনগুণ বেশি।

রাতজাগা আর শ্বাসতন্ত্রের জটিলতার মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকলেও গবেষকদের দাবি, ঘুমের অনিয়ম হওয়ায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে অ্যালার্জি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার সম্পর্ক আছে।

ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হলো ‘মেলাটনিন’। যখনই কেউ ঘুমের স্বাভাবিক নিয়ম ভাঙে তখন এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর কারণে শরীরের ওপর বিভিন্ন প্রভাব পড়ে। যেমন- ক্লান্তি, বদমেজাজ, অ্যালার্জি, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সমস্যার আরেকটি কারণ হলো ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। এই রোগে ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়ার অবস্থা হয়। সব বয়সের হাঁপানি রোগীর সঙ্গেই এমনটা হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যা করতে পারেন-

> সাত থেকে আট ঘণ্টার নির্ভেজাল ঘুম সব বয়সের মানুষকেই নিশ্চিত করতেই হবে।

> শোয়ার ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।

> অতিরিক্ত বাঁকা হয়ে ঘুমানো উচিত না। খেয়াল রাখতে হবে ঘুমানোর ভঙ্গির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়।

> ঘরের বাতাস অস্বাস্থ্যকর হলে এয়ার পিউরিফায়ার বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন।

> ঘুমের স্বাস্থ্যকর নিয়ম গড়তে হবে এবং তা শক্তভাবে মেনে চলতে হবে।

> ডিজিটাল স্ক্রিনটাইম কমাতে হবে। ঘুমানোর আগে মোবাইল চালানো বন্ধ করতে হবে।

> ঘুমে সহায়ক প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।