ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপার সৌন্দর্যের ২০১ গম্বুজের মসজিদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩৮০ বার

সৌদি বা দুবাই নয় এবার অপার সৌন্দর্যের মসজিদ নির্মাণ করে বিশ্বরেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরেই নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা ২০১ গম্বুজের মসজিদ। ২০১ টি গম্বুজ ও ৪৫১ ফিট বা ৫২ তলা উচ্চতম মিনারের নির্মাণকাজ চলছে, যা পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মিনার। সব মিলিয়ে একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছে এ মসজিদ। এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামে। ২৭১ শতাংশ জায়গায় নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ এরই মধ্যে ৭৫% শেষ হয়েছে। নির্মাণাধীন অবস্থায়ই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে নির্মাণাধীন এ মসজিদে থাকবে ২০১টি গম্বুজ। বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশি গম্বুজ কোনো মসজিদে এর আগে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালে অংকিত থাকবে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন। মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মন পিতল। আযান প্রচারের জন্য মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু মিনার। উচ্চতায় মিনারটি হবে প্রায় ৫৭ তলার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৪৫১ ফুট। মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। নির্মাতাদের প্রত্যাশা, শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবে এ মসজিদটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। এরই মধ্যে (নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণকাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথমদিকে পবিত্র ‍কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। দুর-দুরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য থাকবে ডাক বাংলো ও খাবারের ব্যবস্থা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অপার সৌন্দর্যের ২০১ গম্বুজের মসজিদ

আপডেট টাইম : ১১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

সৌদি বা দুবাই নয় এবার অপার সৌন্দর্যের মসজিদ নির্মাণ করে বিশ্বরেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরেই নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা ২০১ গম্বুজের মসজিদ। ২০১ টি গম্বুজ ও ৪৫১ ফিট বা ৫২ তলা উচ্চতম মিনারের নির্মাণকাজ চলছে, যা পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মিনার। সব মিলিয়ে একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছে এ মসজিদ। এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামে। ২৭১ শতাংশ জায়গায় নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ এরই মধ্যে ৭৫% শেষ হয়েছে। নির্মাণাধীন অবস্থায়ই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে নির্মাণাধীন এ মসজিদে থাকবে ২০১টি গম্বুজ। বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশি গম্বুজ কোনো মসজিদে এর আগে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালে অংকিত থাকবে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন। মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মন পিতল। আযান প্রচারের জন্য মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু মিনার। উচ্চতায় মিনারটি হবে প্রায় ৫৭ তলার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৪৫১ ফুট। মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। নির্মাতাদের প্রত্যাশা, শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবে এ মসজিদটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। এরই মধ্যে (নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণকাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথমদিকে পবিত্র ‍কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। দুর-দুরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য থাকবে ডাক বাংলো ও খাবারের ব্যবস্থা।