হাওর বার্তা ডেস্কঃ কমবেশি সারা বছরই খা্ওয়া হলেও ঢেঁড়শের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ সবজির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-
পুষ্টি উপাদান: ঢেঁড়শ বা ওকরা ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও লৌহসমৃদ্ধ। ঢেঁড়শে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ ১.৮ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৮ মিলিগ্রাম, খনিজ পদার্থ বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম, লোহা ১ মিলিগ্রাম ও আয়োডিন রয়েছে।
এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।
ঢেঁড়শের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
২. ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: ঢেঁড়শ ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে: ঢেঁড়শে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়শ বেশ উপকারী।
৪. কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ঢেঁড়শের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
৫. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরও প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৬. উচ্চমাত্রার আঁশ: ঢেঁড়শে থাকা উচ্চ পরিমাণ আঁশ হজমে সহায়তা করে। পেকটিন অন্ত্রের ফোলাভাব কমায় এবং অন্ত্র থেকে বর্জ্য সহজে পরিষ্কার করে।
৭. বিষণ্ণতা দূর করে: ঢেঁড়শ বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
৮. গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ তৈরির জন্য ভালো: ঢেঁড়শ গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সহায়তা করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে।
৯. দৃষ্টি ভালো রাখে: ঢেঁড়শে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে।