হাওর বার্তা ডেস্কঃ রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অনিয়ম এবং দুর্নীতির অনুসন্ধান খুব শিগগিরিই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোয়ার বখত।
দুদক সচিব বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদক খুব শিগগিরই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বর্তমান এ সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে।
অন্যদিকে চলমান মাস্ক দুর্নীতির বিষয়ে দিলোয়ার বখত বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারও নাম জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এলে তাদেরও তলব করা হবে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভূয়া সনদ দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র্যাব।
পরের দিন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয় র্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুইটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরইমধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।