ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে : খালেদা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩৪০ বার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। ক্ষমতাসীনরা বিভেদের মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের’ বাণীতে একথা বলেন। খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদাত বরণকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন, বাংলাদেশকে মেধা-মননে পঙ্গু করার হীনউদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঊষালগ্নে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।’ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেছিল- জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই সদ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মেধার উৎকর্ষহীনতায় নেতৃত্বহীন হয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশমাতৃকার বরেণ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান অমর বুদ্ধিজীবীরা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন, প্রত্যাশা করেছিলেন ন্যায়বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজের।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে অপশক্তি তাঁদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে গণতন্ত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘আবারো সেই অশুভ শক্তি এখন দেশের মানুষের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক অমানবিক কায়দায় থেঁতলে দিয়ে সীমাহীন রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দুর্বল করে যাচ্ছে।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমানে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র নির্বাসনে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিভেদ, অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে।’ তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্ব স্ব অবস্থানে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। আর এক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সবার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে : খালেদা

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। ক্ষমতাসীনরা বিভেদের মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের’ বাণীতে একথা বলেন। খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদাত বরণকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন, বাংলাদেশকে মেধা-মননে পঙ্গু করার হীনউদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঊষালগ্নে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।’ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেছিল- জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই সদ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মেধার উৎকর্ষহীনতায় নেতৃত্বহীন হয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশমাতৃকার বরেণ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান অমর বুদ্ধিজীবীরা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন, প্রত্যাশা করেছিলেন ন্যায়বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজের।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে অপশক্তি তাঁদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে গণতন্ত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘আবারো সেই অশুভ শক্তি এখন দেশের মানুষের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক অমানবিক কায়দায় থেঁতলে দিয়ে সীমাহীন রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দুর্বল করে যাচ্ছে।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমানে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র নির্বাসনে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিভেদ, অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে।’ তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্ব স্ব অবস্থানে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। আর এক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সবার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।