ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাজির শাহ নামে ধান নেই মিনিকেট বলে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • ৩৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যের মানে আমাদের যে অবস্থান রয়েছে তার চেয়ে বেশি ভয় আছে। নিম্নমান ও ভেজাল পণ্যের ভয়ে মানুষ দেশি পণ্যের চেয়ে বিদেশি পণ্যের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। ফলে বিদেশি পণ্যের একটা বাজার তৈরি হচ্ছে দেশে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশি পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরির দায়িত্ব পণ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরই। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত সেমিনারে গতকাল শনিবার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে ‘সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য : সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অঙ্গীকার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, কৃষক খাদ্যে ভেজাল দেয় না। ভেজাল হয় কৃষকদের উৎপাদনের পর থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছতে মাঝখানে যে প্রক্রিয়াগুলো হয় সেখানে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশে মিনিকেট নামে কোনো ধান উৎপাদন হয় না। মিনিকেট বলে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণা ধানের চালকে পলিশ করে চিকন করা হয়। আমি এটিকে মিনি কাটও বলি। নাজির শাহ নামেও কোনো ধান হয় না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে নিম্নমানের এবং ভেজাল পণ্য উৎপাদন করে যেগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোক্তাদের বোকা বানায়। তাই নিরাপদ খাদ্যের চেয়ে ‘নিরাপদ মানুষ’ তৈরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মজুমদার খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উপরেও গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসেইফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং হাঙ্গার ফ্রি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আতাউর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নাজির শাহ নামে ধান নেই মিনিকেট বলে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যের মানে আমাদের যে অবস্থান রয়েছে তার চেয়ে বেশি ভয় আছে। নিম্নমান ও ভেজাল পণ্যের ভয়ে মানুষ দেশি পণ্যের চেয়ে বিদেশি পণ্যের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। ফলে বিদেশি পণ্যের একটা বাজার তৈরি হচ্ছে দেশে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশি পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরির দায়িত্ব পণ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরই। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত সেমিনারে গতকাল শনিবার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে ‘সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য : সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অঙ্গীকার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, কৃষক খাদ্যে ভেজাল দেয় না। ভেজাল হয় কৃষকদের উৎপাদনের পর থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছতে মাঝখানে যে প্রক্রিয়াগুলো হয় সেখানে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশে মিনিকেট নামে কোনো ধান উৎপাদন হয় না। মিনিকেট বলে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণা ধানের চালকে পলিশ করে চিকন করা হয়। আমি এটিকে মিনি কাটও বলি। নাজির শাহ নামেও কোনো ধান হয় না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে নিম্নমানের এবং ভেজাল পণ্য উৎপাদন করে যেগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোক্তাদের বোকা বানায়। তাই নিরাপদ খাদ্যের চেয়ে ‘নিরাপদ মানুষ’ তৈরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মজুমদার খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উপরেও গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসেইফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং হাঙ্গার ফ্রি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আতাউর রহমান।