হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুশফিকুর রহিম বিকেএসপির শিক্ষার্থী। শুক্রবার সেখানে ছিল তাদের ২০০০ সালের ব্যাচের পুনর্মিলনী। জম্পেশ একটা দিন গেল। ওখানেই নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে প্রশ্ন আসে।
তিন সংস্করণেই দেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক বলছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো যেই অধিনায়ক হোক, আমরা কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। আমরা জানি যে সে কী রকম এবং তার সামর্থ্য কতটা।’
‘সে দায়িত্ব পেয়েছে, আমরা সবাই সমর্থন করছি। সে খুব ভালো খেলছে গত কয়েক বছর ধরে। সে যেন পুরো দলকে সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আর নেতৃত্ব একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।’নেতৃত্ব কতটা চ্যালেঞ্জের তা মুশফিকের মতো ভালো কজনইবা বোঝেন?
সদ্যই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই ছিল স্বাগতিকদের দাপট। অনেকে ব্যক্তিগত দারুণ সব কীর্তি গড়েছেন।
মুশফিক বলছেন, ‘জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা কখনোই সহজ না। আমাদের কন্ডিশনে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা সব সময়ই চাপের। কারণ জিততে কোনো বাহবা নেই, হারলে অনেক ডিসক্রেডিট। সেদিক থেকে বলব এটা অবশ্য অনেক বড় একটা মাইলস্টোন।’
মুশফিক যোগ করেন, ‘অনেকে খুব ধারাবাহিকভাবে রান করেছে। ভবিষ্যতের জন্য এটা চ্যালেঞ্জও যে এই ধারাবাহিকতা যেন আমরা বজায় রাখি।’
মুশফিক কথা বলেছেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু করোনাভাইরাস প্রসঙ্গেও। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একের পর এক ক্রীড়া ইভেন্ট বা আসর স্থগিত হচ্ছে। দেশেও এরই মধ্যে বেশ কিছু ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
১৫ মার্চ থেকে ঢাকা লিগ। এখন পর্যন্ত যা নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে বলেই খবর। কিন্তু সার্বিক যে পরিস্থিতি, তাতে খেলার কী দরকার আছে? মুশফিক বলছেন, ‘আমরা খেলোয়াড় মানুষ। খেলাধুলা না হলে আমাদের পেট কীভাবে চলবে?
মুশফিক বরং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন, ‘সতর্কতার কথা বললে শুধু ভাইরাসের জন্য নয়, সবাই যদি নিজের নিজের কর্তব্য পালন করে সেটা শুধু নিজের জন্য নয় অন্য মানুষের জন্যও উপকারে দেবে। আমি মনে করি সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত। বিশ্বব্যাপী হয়তো খেলা চলবে শূন্য গ্যালারিতে। আমরাও যদি এই জায়গাগুলোতে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে উন্নতি হবে।’