হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাণীর চামড়া দিয়ে বিলাসী বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। জুতা, কাপড়, বেল্ট, ব্যাগসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি হয়। তবে মুরগীর চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি কেউ করে না। তবে এমন কাজ করে রাতারাতি খ্যাতি পেয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। হিরকা নামের এই ব্র্যান্ডের জুতা তৈরীতে ব্যবহৃত হয় মুরগীর পায়ের চামড়া।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য থেকেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেখতে সাধারণ চামড়ার জুতো মনে হলেও, প্রচলিত কাঁচামালে তৈরি নয় এ জুতো। দর্শনীয় এবং আরামদায়ক এসব জুতো তৈরি হয়েছে মুরগির পায়ের চামড়া থেকে।
ফেলে দেয়া মুরগীর পা সংগ্রহ করার পর এগুলোর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তারপর তৈরি করা হয় বিভিন্ন ডিজাইনের জুতো। ইন্দোনেশিয়ায় তরুণ উদ্যোক্তা নুরমান ফারিয়েকা রামধানির হাত ধরে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু হয় জুতো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিরকা। মূলত বর্জ্যকে কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই নেয়া হয় এমন অভিনব উদ্যোগ। এক জোড়া জুতা তৈরিতে প্রয়োজন ৪৫টি মুরগির পা। বিক্রী হয় ৩৫ ডলার থেকে ১৪০ ডলারের মধ্যে।
নুরমান ফারিয়েকা বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মুরগির পা ফেলে দেয়া হয়। সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। তাছাড়া সাপ কিংবা কুমিরের মতো, চামড়া ব্যবহৃত হয় এমন অনেক প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টিও আমাকে ভাবায়। সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ।
মুরগির পায়ের চামড়া প্রক্রিয়াজাতের পর বেশ ভালো মানের কাঁচামাল পাওয়া যায় বলে জানান হিরকার প্রতিষ্ঠাতা। একইসাথে সাশ্রয়ী ও টেকসই হয় এ চামড়ার জুতো।