ব্রিটিশরা প্রথম যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আসে তখন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় তৈরি করে মশার উপদ্রব। তখন তারা তাদের বাংলোর চারপাশে তুলসি ও নিম গাছ লাগায়। তখন থেকেই তারা মশা তাড়াতে তুলসি ব্যবহার করে আসছে।
তুলসি শুধু মশা এবং পোকামাকড়ই তাড়ায় না হিন্দুধর্ম মতে, অশুভ আত্মা এবং ভুত তাড়াতে তুলসির তুলনা হয় না।
ভারতের তারকা পুষ্টিবিদ সন্ধ্যা গুগনানি বলেন, তুলসি গাছকে পবিত্র হিসেবে ধরা হয়। তুলসির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস বিরোধী উপাদান রয়েছে যা রক্ত পরিষ্কার, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তুলসির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। তুলসির মধ্যে ফিটোক্যামিকেলস রয়েছে যা শরীরকে ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে।
সন্ধ্যা আরও বলেন, তুলসি বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া, ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
এখানে তুলসির কিছু চমকপ্রদ গুণের কথা তুলে ধরা হল:
-গরম পানির সাথে তুলসি এবং এলাচ মিশিয়ে খেলে জ্বর কমাতে সহায়তা করে।
-তুলসির মধ্যে জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে যা সবধরনের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
-তুলসির সাথে মধু এবং আদা মিশিয়ে খেলে ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠান্ডা থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
-বলা হয়ে থাকে, সকালে খালি পেটে তুলসি পাতার রস খেলে কিডনির পাথর সরে যায়।
– রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে তুলসি সহায়তা করে। তুলসিতে থাকা ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করে।
– উষ্ণ তুলসির শরবত পেটের কৃমি থেকে মুক্তি দিবে।
– মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের ক্যাভিটি ও অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে তুলসি।
-রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে বহুকাল ধরেই তুলসির ব্যবহার হচ্ছে।
-অনেক গবেষকরাই স্বীকার করেছেন, তুলসির মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।