ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বহারাদের আশার আলো পেঁয়াজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • ২০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদার পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরাও।

এবার এ অঞ্চলে এক হাজার ১০৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা গত বছরের দ্বিগুণ। এবার প্রতি একরে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ পাবে চাষিরা।

রৌমারীতে ২০১৮ সালে ৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছিল ৭০২ মেট্রিক টন। এবার চাষিদের আগ্রহ বাড়ায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ১৪১ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০৬ মেট্রিক টন।

জানা গেছে, ভাঙনে সব হারানো ওই উপজেলার বন্দবেড় চরশৌলমারী ও যাদুরচর ইউপিতে ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ের মানুষ চরে ঘর বেঁধে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন তাদের দেখিয়েছে নতুন আশা। তারা সুযোগ পাচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর।

ঘুঘুমারী গ্রামের কৃষক জলিল মোল্লা বলেন, আমি তিন একর জমিতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ৮০-৯০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রি করে ৭০-৭৫ হাজার টাকা লাভ হবে।

সোনাপুর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া বলেনন, সামান্য সেচ ও সারে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে আমাদের দুর্দশা কিছুটা হলেও দূর হবে।

বন্দবেড় ইউপির খনজনমারা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি
কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ের চরাঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। এখানে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিলে বদলে যেতে পারে চরাঞ্চলের দরিদ্রদের ভাগ্য।

এনজিও সিএসডিকে’র নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফ বলেন, ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হচ্ছে। এখানকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা পেঁয়াজ, চিনা ও কাউন, বাদাম, মসুর ডালসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভ পাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এ বছর দ্বিগুণ পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সর্বহারাদের আশার আলো পেঁয়াজ

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাহিদার পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরাও।

এবার এ অঞ্চলে এক হাজার ১০৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা গত বছরের দ্বিগুণ। এবার প্রতি একরে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ পাবে চাষিরা।

রৌমারীতে ২০১৮ সালে ৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছিল ৭০২ মেট্রিক টন। এবার চাষিদের আগ্রহ বাড়ায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ১৪১ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০৬ মেট্রিক টন।

জানা গেছে, ভাঙনে সব হারানো ওই উপজেলার বন্দবেড় চরশৌলমারী ও যাদুরচর ইউপিতে ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ের মানুষ চরে ঘর বেঁধে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন তাদের দেখিয়েছে নতুন আশা। তারা সুযোগ পাচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর।

ঘুঘুমারী গ্রামের কৃষক জলিল মোল্লা বলেন, আমি তিন একর জমিতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ৮০-৯০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রি করে ৭০-৭৫ হাজার টাকা লাভ হবে।

সোনাপুর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া বলেনন, সামান্য সেচ ও সারে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে আমাদের দুর্দশা কিছুটা হলেও দূর হবে।

বন্দবেড় ইউপির খনজনমারা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি
কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ের চরাঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। এখানে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিলে বদলে যেতে পারে চরাঞ্চলের দরিদ্রদের ভাগ্য।

এনজিও সিএসডিকে’র নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফ বলেন, ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হচ্ছে। এখানকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা পেঁয়াজ, চিনা ও কাউন, বাদাম, মসুর ডালসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভ পাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এ বছর দ্বিগুণ পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।