সবজির তালিকায় কাঁচকলা থাকে প্রায় বছর জুড়ে। ভাজি, ভর্তা বা ঝোলে কাঁচকলার ব্যবহার চলে। অন্যান্য তরকারিতে বাধা থাকলেও রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচকলার প্রাধান্যই বেশি। যেকোনো পেটের অসুখ বা বড় কোনো রোগে আরোগ্যের সময় অধিকাংশ ডাক্তারের নির্দেশও খেতে হয় এই সবজি।
প্রাতি ১০০ গ্রাম কাঁচকলা পাবেন খাদ্যশক্তি ১২২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেটস ৩১.৮৯ গ্রাম, প্রোটিন ১.৩০ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩৭ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.৩০ গ্রাম, ফোলেট ২২ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ০.৬৮৬ মিলিগ্রাম, রিবোফ্রাভিন ০.০৫৪ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ১১২৭ আইইউ, ভিটামিন-সি ১৮.৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-ই ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-কে ০.৭ মাইক্রোগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৪৯৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩৪ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১৪ মিলিগ্রাম। কাঁচকলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী জানি কিন্তু এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা আছে কি? তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কাঁচাকলার পাকা গুণ সম্পর্কে।
.কাঁচকলায় থাকা খাদ্যশক্তি দেহের দূর্বলতা কাটিয়ে সবল করে তোলে। রোগীদের জন্য দারুণ পথ্য হিসেবে কাঁচকলার সুনাম রয়েছে।
.কাঁচকলায় থাকা খাদ্যাআঁশ খাবার হজমে সহায়তা করে। পেটের নানা ধরনের অসুখ যেমন- গ্যস, পেটব্যথা, বদহজম ইদ্যাতি দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাঁচকলা উপযোগী।
.কাঁচকলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের যেকোনো সংক্রমণ রোধে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
.এতে থাকা ভিটামিন-এ উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। দেহের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধসহ ক্যানসারের জীবানু রোধেও ভূমিকা রাখে। ত্বকের যত্নেও এর ভূমিকা অসাধারণ।
.কাঁচকলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
.কাঁচকলা থেকে পাওয়া পটাসিয়াম হৃদস্পন্দনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। রক্তচাপের মাত্রাও ঠিক রাখে।
.দেহের কোষ গঠনেও কাঁচকলা ভূমিকা রাখে।
.অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতেও কাঁচকলা দারুণ ভূমিকা রাখে।
.কাঁচকলায় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাক নালী থেকে লবণ ও পানিকে শোষণ করে ডায়রিয়া রোধ করে।