ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাথী ফসলে’ স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এই জেলার বরেন্দ্র এলাকা ঘোড়াঘাট উপজেলা। উপজেলাটির বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। বরেন্দ্র এলাকা হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় পানির স্তর অনেকটাই নিচে থাকে। যার ফলে বেশি খরচে ধান চাষ করে লাভবান হতে পারে না এখানকার কৃষকরা।

তবে বর্তমান সরকারের নানা উদ্দ্যেগ ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এই উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সাথী ফসলের চাষ। সাথী ফসল চাষ করে অনেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন। সাথী ফসল বলতে বুঝায়, একই ক্ষেতে একের অধিক ফসলের চাষ।

সাথী ফসল হিসেবে একই জমিতে সরিষা, আলু, গম, ভুট্টা ও ফল চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। সময় হলে একের পর এক একটি করে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। আর এতে করে অল্প খরচ লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা।

ওসমানপুর এলাকার কৃষক কুদ্দুস আলী বলেন, আমার ৫ বিঘা জমি আছে। আগে আমি ধান চাষ করতাম এসব জমিতে। ধানের তেমন ফলন না পাওয়ায় বিগত কয়েক বছর জমিগুলো ফেলে রেখেছিলাম। পরে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় একই জমিতে মিষ্টি কুমড়া, লিচু ও সরিষা লাগিয়ে ভালো লাভ করতে পারছি।

আরেক কৃষক সুমন বলেন, আমি এখন জমি থেকে ভালো কিছু পাচ্ছি। আগে শুধু খরচ হতো লাভ হতো না। এখন একই জমিতে ভুট্টা ও লিচু চাষ করেছি। আশা করছি এবার ভুট্টা ও লিচু থেকে ভালো টাকা পাবো।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, সাথী ফসলের চাষ আরো বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতার দেওয়ার হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসলের চাষ হয়েছে। ৫ বছর ধরে একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আম ও লিচুর সাথে ধান, গম ও ভুট্রা চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাথী ফসলে’ স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এই জেলার বরেন্দ্র এলাকা ঘোড়াঘাট উপজেলা। উপজেলাটির বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। বরেন্দ্র এলাকা হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় পানির স্তর অনেকটাই নিচে থাকে। যার ফলে বেশি খরচে ধান চাষ করে লাভবান হতে পারে না এখানকার কৃষকরা।

তবে বর্তমান সরকারের নানা উদ্দ্যেগ ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এই উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সাথী ফসলের চাষ। সাথী ফসল চাষ করে অনেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন। সাথী ফসল বলতে বুঝায়, একই ক্ষেতে একের অধিক ফসলের চাষ।

সাথী ফসল হিসেবে একই জমিতে সরিষা, আলু, গম, ভুট্টা ও ফল চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। সময় হলে একের পর এক একটি করে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। আর এতে করে অল্প খরচ লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা।

ওসমানপুর এলাকার কৃষক কুদ্দুস আলী বলেন, আমার ৫ বিঘা জমি আছে। আগে আমি ধান চাষ করতাম এসব জমিতে। ধানের তেমন ফলন না পাওয়ায় বিগত কয়েক বছর জমিগুলো ফেলে রেখেছিলাম। পরে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় একই জমিতে মিষ্টি কুমড়া, লিচু ও সরিষা লাগিয়ে ভালো লাভ করতে পারছি।

আরেক কৃষক সুমন বলেন, আমি এখন জমি থেকে ভালো কিছু পাচ্ছি। আগে শুধু খরচ হতো লাভ হতো না। এখন একই জমিতে ভুট্টা ও লিচু চাষ করেছি। আশা করছি এবার ভুট্টা ও লিচু থেকে ভালো টাকা পাবো।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, সাথী ফসলের চাষ আরো বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতার দেওয়ার হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসলের চাষ হয়েছে। ৫ বছর ধরে একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আম ও লিচুর সাথে ধান, গম ও ভুট্রা চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।