ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের ৪ গরু আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন আরএফকে সেন্টারের প্রধান কেরি কেনেডি সারজিস আলম ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি এই পরিবর্তন শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য’ জানালেন লুবাবা দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি আজ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র আজ দুই ধাপে আমিরাত যাবে বাংলাদেশ

৪৪ পৌরসভায় জামায়াতের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩৩৪ বার

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জামায়াতে ইসলামী ৪৪ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন। গুঞ্জন থাকলেও বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছে না আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াত। তবে শেষ পর্যন্ত কয়টি পৌরসভায় ‘স্বতন্ত্র লেবাসে’ জামায়াতের মেয়র প্রার্থী থাকবেন, তা নির্ভর করছে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ওপর।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে ভাগাভাগির বিষয়টি খোলাসা হবে। যেসব পৌরসভায় জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হবে, সেখান থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী থাকবেন না। অন্যগুলোতে জামায়াত প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও এবারের পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের প্রত্যয়নকারী মোহাম্মদ শাহজাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতকে কতটি পৌরসভায় ছাড় দেবে বিএনপি_ এ সিদ্ধান্তও খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামায়াত নেতারা বলেছেন, সব জায়গাতেই যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন তাদের। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জয়ী হবেন।

জামায়াতের নির্বাচন সমন্বয়কারীদের ঘনিষ্ঠ এক নেতা গতকাল সমকালকে জানান, ফল যাই হোক জামায়াত নির্বাচনে থাকবে। কমপক্ষে ৩৫ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়বে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় সর্বোচ্চ ১০ পৌরসভা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। এ নেতা সমকালকে বলেন, ‘২৩৪ পৌরসভার মাত্র ৪৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। বাকিগুলো তো বিএনপিকে ছেড়েই দিয়েছি। ১৯৯টিতে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি আমাদের ৩৫টিতে সমর্থন দিতে পারবে না?’

মোহাম্মদ শাহজাহান সমকালকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি খালেদা জিয়া চূড়ান্ত করবেন। খোলা মন নিয়েই বিএনপি সমঝোতা করবে। যেখানে যে দলের যোগ্য প্রার্থী আছে, সেখানে সেই দলের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। জোটের অন্য দলগুলো তাকে সমর্থন করবে। বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো কথা নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারাই শরিক হবেন, তারাই জোটের সমর্থন পাবেন।’

এবারই প্রথম দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন হচ্ছে। দল মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত এ সুযোগ পাচ্ছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন জামায়াত প্রার্থীরা।

জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করলেও নির্বাচন সমন্বয় কমিটির সূত্রে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ৪৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের বিরামপুর ছাড়া আর সব জায়গাতেই একক প্রার্থী দিয়েছে।

জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন-
রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড়ে আবদুল খালেক, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে মোকাররম হোসেন, নীলফামারীর জলঢাকায় মকবুল হোসাইন, সৈয়দপুরে গোলাম মোস্তাকিম, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, বিরামপুরে ড. এনামুল হক এবং শাহিনুর রহমান, ফুলবাড়ীতে জয়নাল আবেদিন, গাইবান্ধায় ফেরদৌস আলম, গোবিন্দগঞ্জে আবুল কালাম আযাদ।

রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহীর পুঠিয়ায় আহাদ আলী, গোদাগাড়িতে আমিনুল ইসলাম, চারঘাটে সাইফুল ইসলাম, তানোরের মণ্ডুমালায় আনিসুর রহমান, পবার কাটাখালীতে মাজেদুর রহমান, নওহাটায় মশিউর রহমান, নাটোরের সিংড়ায় জয়নাল আবেদিন, নলডাঙ্গায় নজরুল ইসলাম, নওগাঁর নজিপুরে রমজান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জে জাফর আলী, নাচোলে ডা. রফিকুল ইসলাম, রহনপুরে মিজানুর রহমান, বগুড়ার কাহালুতে জহিরুল ইসলাম বাদশা, জয়পুরহাটে হাসিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবদুর রাজ্জাক মিয়া, রায়গঞ্জে মোশাররফ হোসেন আকন্দ।

খুলনা বিভাগ: খুলনার পাইকগাছায় আবদুল মজিদ গাজী, যশোরের চৌগাছায় কামাল আহমেদ মাস্টার, কেশবপুরে ওজিহুর রহমান, ঝিনাইদহের মহেশপুরে শহিদুল হক বিশ্বাস, কোটচাঁদপুরে শরিফুল ইসলাম, মিরপুরে আবুল হাশেম চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সাজিদুর রহমান, দর্শনায় আশকার আলী, সাতক্ষীরায় শেখ নূরুল হুদা, কলারোয়ায় শেখ ইমান আলী।

সিলেট বিভাগ: কানাইঘাটে এ কে এম ওলিউল্লাহ, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খিজির আহমেদ।

চট্টগ্রাম বিভাগ: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভিপি সাহাবউদ্দিন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মাওলানা মোশাররফ হোসেন, চাটখিলে মাওলানা সাইফুল্লাহ, সীতাকুণ্ডে তৌহিদুল হক চৌধুরী।

ঢাকা বিভাগে একমাত্র প্রার্থী ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নেয়াজুল হাসান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

৪৪ পৌরসভায় জামায়াতের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী

আপডেট টাইম : ০২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জামায়াতে ইসলামী ৪৪ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন। গুঞ্জন থাকলেও বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছে না আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াত। তবে শেষ পর্যন্ত কয়টি পৌরসভায় ‘স্বতন্ত্র লেবাসে’ জামায়াতের মেয়র প্রার্থী থাকবেন, তা নির্ভর করছে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ওপর।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে ভাগাভাগির বিষয়টি খোলাসা হবে। যেসব পৌরসভায় জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হবে, সেখান থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী থাকবেন না। অন্যগুলোতে জামায়াত প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও এবারের পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের প্রত্যয়নকারী মোহাম্মদ শাহজাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতকে কতটি পৌরসভায় ছাড় দেবে বিএনপি_ এ সিদ্ধান্তও খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দিয়েছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামায়াত নেতারা বলেছেন, সব জায়গাতেই যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন তাদের। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জয়ী হবেন।

জামায়াতের নির্বাচন সমন্বয়কারীদের ঘনিষ্ঠ এক নেতা গতকাল সমকালকে জানান, ফল যাই হোক জামায়াত নির্বাচনে থাকবে। কমপক্ষে ৩৫ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়বে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় সর্বোচ্চ ১০ পৌরসভা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। এ নেতা সমকালকে বলেন, ‘২৩৪ পৌরসভার মাত্র ৪৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। বাকিগুলো তো বিএনপিকে ছেড়েই দিয়েছি। ১৯৯টিতে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপি আমাদের ৩৫টিতে সমর্থন দিতে পারবে না?’

মোহাম্মদ শাহজাহান সমকালকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি খালেদা জিয়া চূড়ান্ত করবেন। খোলা মন নিয়েই বিএনপি সমঝোতা করবে। যেখানে যে দলের যোগ্য প্রার্থী আছে, সেখানে সেই দলের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। জোটের অন্য দলগুলো তাকে সমর্থন করবে। বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো কথা নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারাই শরিক হবেন, তারাই জোটের সমর্থন পাবেন।’

এবারই প্রথম দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন হচ্ছে। দল মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত এ সুযোগ পাচ্ছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন জামায়াত প্রার্থীরা।

জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করলেও নির্বাচন সমন্বয় কমিটির সূত্রে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ৪৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের বিরামপুর ছাড়া আর সব জায়গাতেই একক প্রার্থী দিয়েছে।

জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন-
রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড়ে আবদুল খালেক, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে মোকাররম হোসেন, নীলফামারীর জলঢাকায় মকবুল হোসাইন, সৈয়দপুরে গোলাম মোস্তাকিম, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, বিরামপুরে ড. এনামুল হক এবং শাহিনুর রহমান, ফুলবাড়ীতে জয়নাল আবেদিন, গাইবান্ধায় ফেরদৌস আলম, গোবিন্দগঞ্জে আবুল কালাম আযাদ।

রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহীর পুঠিয়ায় আহাদ আলী, গোদাগাড়িতে আমিনুল ইসলাম, চারঘাটে সাইফুল ইসলাম, তানোরের মণ্ডুমালায় আনিসুর রহমান, পবার কাটাখালীতে মাজেদুর রহমান, নওহাটায় মশিউর রহমান, নাটোরের সিংড়ায় জয়নাল আবেদিন, নলডাঙ্গায় নজরুল ইসলাম, নওগাঁর নজিপুরে রমজান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জে জাফর আলী, নাচোলে ডা. রফিকুল ইসলাম, রহনপুরে মিজানুর রহমান, বগুড়ার কাহালুতে জহিরুল ইসলাম বাদশা, জয়পুরহাটে হাসিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবদুর রাজ্জাক মিয়া, রায়গঞ্জে মোশাররফ হোসেন আকন্দ।

খুলনা বিভাগ: খুলনার পাইকগাছায় আবদুল মজিদ গাজী, যশোরের চৌগাছায় কামাল আহমেদ মাস্টার, কেশবপুরে ওজিহুর রহমান, ঝিনাইদহের মহেশপুরে শহিদুল হক বিশ্বাস, কোটচাঁদপুরে শরিফুল ইসলাম, মিরপুরে আবুল হাশেম চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সাজিদুর রহমান, দর্শনায় আশকার আলী, সাতক্ষীরায় শেখ নূরুল হুদা, কলারোয়ায় শেখ ইমান আলী।

সিলেট বিভাগ: কানাইঘাটে এ কে এম ওলিউল্লাহ, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খিজির আহমেদ।

চট্টগ্রাম বিভাগ: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভিপি সাহাবউদ্দিন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মাওলানা মোশাররফ হোসেন, চাটখিলে মাওলানা সাইফুল্লাহ, সীতাকুণ্ডে তৌহিদুল হক চৌধুরী।

ঢাকা বিভাগে একমাত্র প্রার্থী ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নেয়াজুল হাসান।