ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যেসব পরামর্শ চাইবে বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৮৯ বার

বিশ্বের মানুষকে অল্প সময়ে পরিচিত করেছে ফেসবুক। বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন ফেসবুক। ফেসবুক ছাড়া বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং প্রযুক্তিগত জীবন অনেকটাই অন্ধকার। ডিজিটাল বিশ্বে মানুষের সহজ যোগাযোগসহ উপার্জনের মাধ্যমও এটি। অবশ্য সুবিধার চেয়ে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বিশ্বের অাতঙ্ক জঙ্গী গোষ্ঠিগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে নানা তৎপরতা ছড়াতে পারে। নিরাপত্তার কারণেই বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অবশ্য শিগগিরই খুলে দেয়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে সরকার তরফে। তবে নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয়ে ফেসবুকের সঙ্গে একটি চুক্তিও করতে পারে সরকার। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীর প্রতি অবমাননা ও সাইবার সন্ত্রাস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় সম্পর্কে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ চাইবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক হবে বলে জানান তিনি। বাল্যবিয়ে বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে সাইবার সন্ত্রাস কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ফেসবুকে নারীর অবমাননাকর উপস্থাপনা বন্ধের বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ এর সাথে একটি মেয়ের জীবন-মৃত্যু জড়িয়ে আছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা যখন ফেসবুকে ঘটে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বন্ধ করা সম্ভব না হলে মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের কৌশল জানতে চাইব। তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এর আগে কোনো সাড়া দেয়নি। বিটিআরসি থেকে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি। তারানা হালিম বলেন, চিঠি দেয়ার পার ফেসবুকের পলিসি অ্যাডভাইজার আমাদের ই-মেইল করে জানিয়েছেন, ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে আমরা সাইবার সন্ত্রাস, বুলিং এসব বন্ধ করতে তাদের পরামর্শ চাইব। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোর একদিন পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান তারানা হালিম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যেসব পরামর্শ চাইবে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বিশ্বের মানুষকে অল্প সময়ে পরিচিত করেছে ফেসবুক। বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন ফেসবুক। ফেসবুক ছাড়া বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং প্রযুক্তিগত জীবন অনেকটাই অন্ধকার। ডিজিটাল বিশ্বে মানুষের সহজ যোগাযোগসহ উপার্জনের মাধ্যমও এটি। অবশ্য সুবিধার চেয়ে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বিশ্বের অাতঙ্ক জঙ্গী গোষ্ঠিগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে নানা তৎপরতা ছড়াতে পারে। নিরাপত্তার কারণেই বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অবশ্য শিগগিরই খুলে দেয়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে সরকার তরফে। তবে নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয়ে ফেসবুকের সঙ্গে একটি চুক্তিও করতে পারে সরকার। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীর প্রতি অবমাননা ও সাইবার সন্ত্রাস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় সম্পর্কে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ চাইবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক হবে বলে জানান তিনি। বাল্যবিয়ে বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে সাইবার সন্ত্রাস কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ফেসবুকে নারীর অবমাননাকর উপস্থাপনা বন্ধের বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ এর সাথে একটি মেয়ের জীবন-মৃত্যু জড়িয়ে আছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা যখন ফেসবুকে ঘটে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বন্ধ করা সম্ভব না হলে মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের কৌশল জানতে চাইব। তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এর আগে কোনো সাড়া দেয়নি। বিটিআরসি থেকে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি। তারানা হালিম বলেন, চিঠি দেয়ার পার ফেসবুকের পলিসি অ্যাডভাইজার আমাদের ই-মেইল করে জানিয়েছেন, ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে আমরা সাইবার সন্ত্রাস, বুলিং এসব বন্ধ করতে তাদের পরামর্শ চাইব। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোর একদিন পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান তারানা হালিম।