হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকার আশপাশে বেশ কিছু ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন সেসব জমিতে ফলছে নানাজাতের সবজি। এতে এক সময়ের পেশা বদলানো চাষি আবার পুরোদমে ফিরেছেন কৃষিকাজে। তবে ভালো ফলন পেতে এবং মাটি আরো উপযোগী হতে আরো অন্তত এক বছর পেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
এক সময়ের ধু ধু প্রান্তরে এখন সবুজের সমারোহ। ফলছে লাউ, টমেটো, বাঁধাকপিসহ নানা রকম মৌসুমী সবজি। আশুলিয়ার তুরাগ নদ লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার এমন চিত্র এখন আশান্বিত করছে কৃষককে। গত এক বছরে এই এলাকায় বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু ইট ভাটা। সেই ভাটার নিচেই এখন চলছে সবুজ বিপ্লব। ৭০ বছর বয়সী আব্দুল আলী। নয়াপাড়া এলাকার এই কৃষক বলছেন, এই মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন তিনি। শুধু ফুলকপিতেই তার লাভের অঙ্ক, লাখের ঘর ছুঁয়েছে।
তবে তার আক্ষেপ হলো একবার বন্ধ হলে ভাটা যাতে আবার চালু না হয় তেমন স্থায়ী উদ্যোগ কেন নেয়া হয় না। আব্দুল আলীর মতো অতটা বড় পরিসরে না হলেও ফারুক মোল্লাও ঝুঁকেছেন সবজি আবাদে। তারা সবাই বলছেন, এই মৌসুমে যেমন লাভ হয়েছে আগামী বছর এই লাভ আরো বাড়বে।
চাষিরা বলছেন, যারা পদে দেয় তারা চোর। টাকা দিয়ে ঈদ ভাটা বন্ধ হওয়ার পরও চালু হয়। এখন অনেক ভালো হয়েছে। টমেটো হয়েছে, লাউ হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে ইটভাটা আছে প্রায় ৮ হাজার। তবে এরমধ্যে অবৈধ ভাটার সংখ্যা কত সেটি জানেন না তারা।
বন্ধ ভাটা আবার চালু হওয়ার অভিযোগ স্বীকার করলেও; সেটি কেনো হয় সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাটনা পরিচালক মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, আমাদের স্কেবেটার লাগে সেটি দিয়ে ইট ভাটার চিম্নি ভাঙা যায় না।
আশুলিয়ার এই উদাহরণকে সাধুবাদ জানিয়ে অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা ও এর আশপাশের কয়েকটি জেলায় গত কয়েক মাসে অন্তত পাঁচশ ভাটা বন্ধ করা হয়েছে।
নয়াপাড়া এলাকার কৃষকেরা বলছেন, আদালতের আদেশ মেনে যদি এ এলাকায় চালু থাকা অবৈধ ভাটাগুলো বন্ধ করা হয় তবে উপকৃত হবেন তারা। তাই পরিবেশতো বটেই কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে সারাদেশেই অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন প্রান্তিক এই মানুষেরা।