ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

শুধুই মরিচ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খেত আর বাড়ির আঙিনা জুড়ে শুধুই মরিচ। জামালপুরের সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, মেলান্দহ ও জামালপুর সদর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, সারা দেশে জামালপুরের মরিচের ব্যাপক চাহিদা। এ বছর জেলার চরাঞ্চলের আট হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ মণ কাঁচামরিচের ফলন হয়েছে। যা শুকানোর পর হচ্ছে ৯-১০ মণ। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কাঁচামরিচ খেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা প্রতিমণ। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘায় কৃষকদের লাভ হচ্ছে ১০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে মেলান্দহের মধ্যের চরে দেখা গেছে, বিশাল মাঠজুড়ে শুধু মরিচ আর মরিচ। মরিচের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। কেউ মরিচ গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কাঁচা ও পাকা মরিচ তুলে বস্তায় ভরছেন। অনেকেই পাইকারদের সঙ্গে মরিচের দাম নিয়ে কথা বলছেন।

মধ্যের চরের শামসুল মণ্ডল বলেন, বন্যার পরই খেতে মরিচ লাগাইছি। এবার মরিচের ভালোই দাম পাইছি।

একই এলাকার নজর আলী মণ্ডল বলেন, একবছর আগে যে মরিচ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকায়। প্রতি বিঘায় ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।

সরিষাবাড়ীর চর ছাতারিয়ার তোতা মিয়া জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সঠিক সময়ে মাটি শুকিয়ে মরিচ চাষ করায় ফলন ভালো হয়েছে।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের শুরুর দিকে কুয়াশার কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে ভালো দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

শুধুই মরিচ

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খেত আর বাড়ির আঙিনা জুড়ে শুধুই মরিচ। জামালপুরের সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, মেলান্দহ ও জামালপুর সদর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, সারা দেশে জামালপুরের মরিচের ব্যাপক চাহিদা। এ বছর জেলার চরাঞ্চলের আট হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ মণ কাঁচামরিচের ফলন হয়েছে। যা শুকানোর পর হচ্ছে ৯-১০ মণ। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কাঁচামরিচ খেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা প্রতিমণ। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘায় কৃষকদের লাভ হচ্ছে ১০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে মেলান্দহের মধ্যের চরে দেখা গেছে, বিশাল মাঠজুড়ে শুধু মরিচ আর মরিচ। মরিচের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। কেউ মরিচ গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কাঁচা ও পাকা মরিচ তুলে বস্তায় ভরছেন। অনেকেই পাইকারদের সঙ্গে মরিচের দাম নিয়ে কথা বলছেন।

মধ্যের চরের শামসুল মণ্ডল বলেন, বন্যার পরই খেতে মরিচ লাগাইছি। এবার মরিচের ভালোই দাম পাইছি।

একই এলাকার নজর আলী মণ্ডল বলেন, একবছর আগে যে মরিচ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকায়। প্রতি বিঘায় ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।

সরিষাবাড়ীর চর ছাতারিয়ার তোতা মিয়া জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সঠিক সময়ে মাটি শুকিয়ে মরিচ চাষ করায় ফলন ভালো হয়েছে।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের শুরুর দিকে কুয়াশার কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে ভালো দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।