হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বীকার করতেই হবে, নারীর অগ্রগতি শনৈঃ শনৈঃ বাড়ছে। সবকিছুই ঠিক আছে, তবু বাঁশিটি ঠিক সুরে বাজছে না। তার প্রমাণ প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই পাওয়া যায়। একটি, দুটি নয়- প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের খবর থাকছেই পত্রিকাতে। মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোতে যোনিচ্ছেদ রীতির আধিক্য থাকলেও এখন এশিয়াতেও এমন ন্শংসতার চল রয়েছে।
মেয়েদের যোনিচ্ছেদ এই একবিংশ শতাব্দীতেও দুনিয়াভর চলতে থাকা এক ভয়াবহ রীতি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক হিসেবে জানানো হয়েছে সারা বিশ্বে মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ বাবদ খরচ হয় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হু-এর হিসেব বলছে দুনিয়ায় ২ বিলিয়ন মহিলার যৌন চাহিদা দমিয়ে দেওয়ার জন্য ক্লাইটোরিস (ভগাঙ্কুর) কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ তাদের বার্ষিক মোট আয়ের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ খরচ করে এই খাতে।
মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোতে এই রীতির আধিক্য থাকলেও এখন এশিয়াতেও এমন ন্শংসতার চল রয়েছে। ভগাঙ্কুরচ্ছেদের অভিজ্ঞতা খুবই ভয়াবহ। এর ফলে গুরুতর শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে যোনিচ্ছেদের মতো বর্বর প্রচলন বন্ধ হলে ২০৫০ এর মধ্যে সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্যখাতে ৬০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, ৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব যোনিচ্ছেদ বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।