ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি ছাড়াই জন্মায় সবজি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৩৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাটি ছাড়াই সবজি উৎপাদন করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের এমরান আলী। আধুনিক এ পদ্ধতি সবজি চাষিদের কাছে এক নতুন দিগন্ত।

নিজের ‘সরদার ফারমার্স হাব সবজি নার্সারি’তে কোকো ডাস্ট ও প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের সবজির চারা উৎপাদন করছেন তিনি।

এমরান আলী মহাদেবপুর সদর ইউপির শালগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি জানান, নেট হাউজের ভেতরে কোকো ডাস্ট বা নারকেলের ছোবড়া ব্যবহার করায় মাটি ও বায়ুবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছে এসব চারা। এতে সবজি হয় বিষমুক্ত, অটুট থাকে পুষ্টিগুণ।

এমরান আলীর এ উদ্ভাবন সাড়া ফেলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেও। তার এ আবিষ্কারে মুগ্ধ কৃষি কর্মকর্তারা।

এমরান আলী জানান, তিনি কৃষির উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন সবসময়। কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে স্বল্প মূল্যে উন্নত জাতের সবজি উৎপাদন করা যায় তা নিয়েই গবেষণা করতেন। এভাবেই পেয়ে যান চমকপ্রদ এ উপায়। এখন তিনি সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

এমরানের নার্সারিতে হিয়ে দেখা গেছে, কোকো ডাস্ট ও কেঁচো সার ব্যবহার করে প্লাস্টিক ট্রে’তে সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি হয় না। চারপাশ নেটে ঘেরা, তাই পর্যাপ্ত আলো-বাতাসও পায় চারাগুলো। পাশাপাশি রক্ষা পায় ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে। তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝড়-বৃষ্টি থেকে চারা রক্ষা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ পলিথিন।

এসএম এমরান আলী বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে সিনজেনটা ফাউন্ডেশনের ‘ফারমার্স হাব’-এর সহযোগিতায় দুই শতক জমিতে সবজি নার্সারি গড়ে তুলি। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গ্রিন হাউজের আদলে তৈরি করি নেট হাউজ। এতে অল্প খরচে পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদন করি। এছাড়া গোলাপ, গাঁদা, অর্কিড, অ্যান্ধরিয়াম, চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চারাও উৎপাদন করি।

তিনি আরো বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে একই জমিতে বারবার চারা উৎপাদন করায় জমির উর্বরতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। চারা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। এতে লোকসান গুণতে হয় চাষিদের। আধুনিক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের খরচও অল্প, চারাও হয় সুস্থ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরদার ফারমার্স হাব সবজি নার্সারি’তে সবজির চারা উৎপাদন কার্যক্রম অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আধুনিক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষিরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি সবজি উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাটি ছাড়াই জন্মায় সবজি

আপডেট টাইম : ১১:১৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাটি ছাড়াই সবজি উৎপাদন করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের এমরান আলী। আধুনিক এ পদ্ধতি সবজি চাষিদের কাছে এক নতুন দিগন্ত।

নিজের ‘সরদার ফারমার্স হাব সবজি নার্সারি’তে কোকো ডাস্ট ও প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের সবজির চারা উৎপাদন করছেন তিনি।

এমরান আলী মহাদেবপুর সদর ইউপির শালগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি জানান, নেট হাউজের ভেতরে কোকো ডাস্ট বা নারকেলের ছোবড়া ব্যবহার করায় মাটি ও বায়ুবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছে এসব চারা। এতে সবজি হয় বিষমুক্ত, অটুট থাকে পুষ্টিগুণ।

এমরান আলীর এ উদ্ভাবন সাড়া ফেলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেও। তার এ আবিষ্কারে মুগ্ধ কৃষি কর্মকর্তারা।

এমরান আলী জানান, তিনি কৃষির উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন সবসময়। কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে স্বল্প মূল্যে উন্নত জাতের সবজি উৎপাদন করা যায় তা নিয়েই গবেষণা করতেন। এভাবেই পেয়ে যান চমকপ্রদ এ উপায়। এখন তিনি সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

এমরানের নার্সারিতে হিয়ে দেখা গেছে, কোকো ডাস্ট ও কেঁচো সার ব্যবহার করে প্লাস্টিক ট্রে’তে সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি হয় না। চারপাশ নেটে ঘেরা, তাই পর্যাপ্ত আলো-বাতাসও পায় চারাগুলো। পাশাপাশি রক্ষা পায় ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে। তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝড়-বৃষ্টি থেকে চারা রক্ষা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ পলিথিন।

এসএম এমরান আলী বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে সিনজেনটা ফাউন্ডেশনের ‘ফারমার্স হাব’-এর সহযোগিতায় দুই শতক জমিতে সবজি নার্সারি গড়ে তুলি। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গ্রিন হাউজের আদলে তৈরি করি নেট হাউজ। এতে অল্প খরচে পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদন করি। এছাড়া গোলাপ, গাঁদা, অর্কিড, অ্যান্ধরিয়াম, চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চারাও উৎপাদন করি।

তিনি আরো বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে একই জমিতে বারবার চারা উৎপাদন করায় জমির উর্বরতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। চারা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। এতে লোকসান গুণতে হয় চাষিদের। আধুনিক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের খরচও অল্প, চারাও হয় সুস্থ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরদার ফারমার্স হাব সবজি নার্সারি’তে সবজির চারা উৎপাদন কার্যক্রম অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আধুনিক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষিরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি সবজি উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।