ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিভি’র যে ভুলগুলো আপনার জানা জরুরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজেকে চাকরি ক্ষেত্রে যোগ্য প্রমাণিত করার একটি বড় বিষয় হলো নিখুঁত ও সুন্দর একটি সিভি।
যেকোনো কাজের জন্য যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ যেন আপনার সিভিতে হয় এমনটা চান চাকরিদানকারীরা।

তবে সহজ কিছু ভুলে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে আপনার সিভি। এজন্য সিভি তৈরি করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

চলুন তাহলে এমন কিছু ভুলের কথা জেনে নিই, যা আপনার সিভির মান কমিয়ে দেয় অনেকখানি।

বানান ও ব্যাকরণের ভুল : সিভি তৈরি করার প্রথম শর্ত হলো নির্ভুল বানানের হতে হবে। কোনো প্রকার বানান কিংবা ব্যাকরণে কোনোরকম ভুল থাকা যাবে না। খুব সামান্য এই ভুলগুলোতে আটকে যেতে পারে নিয়োগকর্তার চোখে।

এজন্য স্পেল চেকারের মাধ্যমে সহজেই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারেন। ব্যাকরণ গঠিত সমস্যায় পড়লে এ ব্যাপারে ভালো জানে এমন কারো সাহায্য নিয়ে সিভি তৈরি করুন।

মাত্রাতিরিক্ত ডিজাইন : সৃজনশীলতা সবাই পছন্দ করে, তবে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট পরিমাণে। অতিরিক্ত হাবিজাবি সিভি কেউ পছন্দ করে না। গ্রাফিক্স এর কাজ, লেখার ফন্ট এবং সাইজের নানা ধরন কিংবা কালারিং করলেই তা চোখে পড়বে না। বরং সহজ এবং রুচিশীল সিভি প্রাধান্য পাবে বেশি।

অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভরপুর : সিভি হতে হবে স্বচ্ছ তথ্যে ভরপুর। অপ্রয়োজনীয় বাড়তি তথ্য দিয়ে সিভি ভরালে তা কেবল পৃষ্ঠাই বাড়াবে গ্রহণযোগ্যতা নয়। আর তাই যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করছেন সে কাজ সম্পর্কিত তথ্য, আপনার অর্জন সিভিতে রাখুন।

রাজনৈতিক ধারণা, ধর্ম, নিজের অভিমত- এসব লেখার স্থান সিভি নয়।

নতুন তথ্য যুক্ত না করা : যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা সিভিতে যুক্ত করতে হবে। কয়েক বছর আগের তৈরি সিভি দিয়ে কোনো চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করবেন না। সিভির আপডেট রাখা জরুরি। পুরনো ছবি না দিয়ে সম্প্রতি তোলা ছবি ব্যবহার করুন সিভিতে।

আকারে বড় এবং অস্পষ্ট : নিজের ব্যাপারে কখনো বাড়িয়ে লিখবেন না। নিজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিন। চাই, প্রয়োজন, খুঁজছি এরূপ কথা সিভিতে উল্লেখ করা যাবে না। এছাড়া বেশি পুরনো তথ্য দিয়ে সিভি বড় করবেন না। কারণ বড় সিভি পড়া নিয়োগকর্তার জন্য বিরক্তিকর হতে পারে।

বিভ্রান্তিকর উদ্দেশ্য : অনেকেই সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত লেখার সময় উদ্দেশ্য উল্লেখ করেন। বেশিরভাগই লেখেন- ‘আমি একটি চ্যালেঞ্জিং চাকরি খুঁজছি’। এই বাক্যটি নিয়োগকর্তা পছন্দ হবে এমন নাও হতে পারে। কারণ আপনার চ্যালেঞ্জিং কাজ যদি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে না পারে তাহলে সেটা তার কাছে অর্থহীন। এজন্য এ ধরনের বাক্য ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

এক পাতায় অতিরিক্ত তথ্য : সিভি তৈরিতে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে একটি নির্দিষ্ট আকারের মধ্যে সিভি রাখতে হবে। প্রায় ৮০ ভাগ কর্মকর্তা মনে করেন একটি সিভি কমপক্ষে দুই পাতার হওয়া উচিত।

আপনি যদি ছোট আকারের সিভি করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ যে সব প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেছেন, সেখানকার দায়িত্ব, অর্জন ও প্রতিষ্ঠানের করপোরেট মূল্য সংক্ষেপে তুলে ধরুন।

তারিখ বাদ দেয়া : তারিখের কথা শুনে কী ভাবছেন? সিভিতে তারিখের প্রয়োজনটা কী, সেটাই তো। সিভিতে উল্লিখিত বিভিন্ন চাকরির তারিখগুলো পরিষ্কার করে লিখতে হবে। সঠিক তারিখ যখন আপনি বাদ দেবেন তখন নিয়োগকর্তা ভেবে নেবে আপনি কিছু লুকাতে চাচ্ছেন।

এক জরিপে দেখা গেছে, তারিখ ছাড়া সিভিকে প্রায় ২৭ ভাগ কর্মকর্তা ভুল সিভি হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং সেগুলোকে বাদ দিয়ে দেন।

উপরি-উক্ত সমস্যাগুলো এড়িয়ে সুন্দর ও গোছানো একটি সিভি তৈরি করুন। এতে চাকরি নিয়োগকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন অনেকগুণ বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিভি’র যে ভুলগুলো আপনার জানা জরুরি

আপডেট টাইম : ১২:১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজেকে চাকরি ক্ষেত্রে যোগ্য প্রমাণিত করার একটি বড় বিষয় হলো নিখুঁত ও সুন্দর একটি সিভি।
যেকোনো কাজের জন্য যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ যেন আপনার সিভিতে হয় এমনটা চান চাকরিদানকারীরা।

তবে সহজ কিছু ভুলে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে আপনার সিভি। এজন্য সিভি তৈরি করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

চলুন তাহলে এমন কিছু ভুলের কথা জেনে নিই, যা আপনার সিভির মান কমিয়ে দেয় অনেকখানি।

বানান ও ব্যাকরণের ভুল : সিভি তৈরি করার প্রথম শর্ত হলো নির্ভুল বানানের হতে হবে। কোনো প্রকার বানান কিংবা ব্যাকরণে কোনোরকম ভুল থাকা যাবে না। খুব সামান্য এই ভুলগুলোতে আটকে যেতে পারে নিয়োগকর্তার চোখে।

এজন্য স্পেল চেকারের মাধ্যমে সহজেই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারেন। ব্যাকরণ গঠিত সমস্যায় পড়লে এ ব্যাপারে ভালো জানে এমন কারো সাহায্য নিয়ে সিভি তৈরি করুন।

মাত্রাতিরিক্ত ডিজাইন : সৃজনশীলতা সবাই পছন্দ করে, তবে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট পরিমাণে। অতিরিক্ত হাবিজাবি সিভি কেউ পছন্দ করে না। গ্রাফিক্স এর কাজ, লেখার ফন্ট এবং সাইজের নানা ধরন কিংবা কালারিং করলেই তা চোখে পড়বে না। বরং সহজ এবং রুচিশীল সিভি প্রাধান্য পাবে বেশি।

অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভরপুর : সিভি হতে হবে স্বচ্ছ তথ্যে ভরপুর। অপ্রয়োজনীয় বাড়তি তথ্য দিয়ে সিভি ভরালে তা কেবল পৃষ্ঠাই বাড়াবে গ্রহণযোগ্যতা নয়। আর তাই যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করছেন সে কাজ সম্পর্কিত তথ্য, আপনার অর্জন সিভিতে রাখুন।

রাজনৈতিক ধারণা, ধর্ম, নিজের অভিমত- এসব লেখার স্থান সিভি নয়।

নতুন তথ্য যুক্ত না করা : যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা সিভিতে যুক্ত করতে হবে। কয়েক বছর আগের তৈরি সিভি দিয়ে কোনো চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করবেন না। সিভির আপডেট রাখা জরুরি। পুরনো ছবি না দিয়ে সম্প্রতি তোলা ছবি ব্যবহার করুন সিভিতে।

আকারে বড় এবং অস্পষ্ট : নিজের ব্যাপারে কখনো বাড়িয়ে লিখবেন না। নিজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিন। চাই, প্রয়োজন, খুঁজছি এরূপ কথা সিভিতে উল্লেখ করা যাবে না। এছাড়া বেশি পুরনো তথ্য দিয়ে সিভি বড় করবেন না। কারণ বড় সিভি পড়া নিয়োগকর্তার জন্য বিরক্তিকর হতে পারে।

বিভ্রান্তিকর উদ্দেশ্য : অনেকেই সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত লেখার সময় উদ্দেশ্য উল্লেখ করেন। বেশিরভাগই লেখেন- ‘আমি একটি চ্যালেঞ্জিং চাকরি খুঁজছি’। এই বাক্যটি নিয়োগকর্তা পছন্দ হবে এমন নাও হতে পারে। কারণ আপনার চ্যালেঞ্জিং কাজ যদি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে না পারে তাহলে সেটা তার কাছে অর্থহীন। এজন্য এ ধরনের বাক্য ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

এক পাতায় অতিরিক্ত তথ্য : সিভি তৈরিতে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে একটি নির্দিষ্ট আকারের মধ্যে সিভি রাখতে হবে। প্রায় ৮০ ভাগ কর্মকর্তা মনে করেন একটি সিভি কমপক্ষে দুই পাতার হওয়া উচিত।

আপনি যদি ছোট আকারের সিভি করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ যে সব প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেছেন, সেখানকার দায়িত্ব, অর্জন ও প্রতিষ্ঠানের করপোরেট মূল্য সংক্ষেপে তুলে ধরুন।

তারিখ বাদ দেয়া : তারিখের কথা শুনে কী ভাবছেন? সিভিতে তারিখের প্রয়োজনটা কী, সেটাই তো। সিভিতে উল্লিখিত বিভিন্ন চাকরির তারিখগুলো পরিষ্কার করে লিখতে হবে। সঠিক তারিখ যখন আপনি বাদ দেবেন তখন নিয়োগকর্তা ভেবে নেবে আপনি কিছু লুকাতে চাচ্ছেন।

এক জরিপে দেখা গেছে, তারিখ ছাড়া সিভিকে প্রায় ২৭ ভাগ কর্মকর্তা ভুল সিভি হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং সেগুলোকে বাদ দিয়ে দেন।

উপরি-উক্ত সমস্যাগুলো এড়িয়ে সুন্দর ও গোছানো একটি সিভি তৈরি করুন। এতে চাকরি নিয়োগকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন অনেকগুণ বেশি।