ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে পান চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ২০৮ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলা আলু ও ধানের জন্য বিখ্যাত হলেও এখন পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষকদের। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই পান চাষ। তবে কৃষকরা বলছেন, জেলায় পান বিক্রির নির্ধারিত কোন হাট নেই। তাই কিছুটা দুর্ভোগের মধ্যে অন্য জেলায় গিয়ে পান বিক্রি করতে হয় তাদের। তাছাড়া সরকারিভাবে ঋণ ও প্রশিক্ষনসহ অন্যান্য সহযোগীতা না পাওয়ায় কিছুটা বিপাকে তারা।

১৯৯০ সালের দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চেঁচরাগ্রামে আফছার আলী তার নিজ উদ্যোগে ১৫ শতক জমিতে প্রথম শুরু করেন পান চাষ। অন্য ফসলের চেয়ে পান চাষ লাভজনক হওয়ায় তার দেখাদেখি তা বিভিন্ন এলাকায় ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যায়।

বর্তমানে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল, তাজপুরসহ পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা চেঁচরা, সালুয়া, বাগজানা, ত্রিপুরা, রতনপুর, আটাপাড়াসহ প্রায় শতাধিক গ্রামে নিজ মেধা ও উদ্যোগে পান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

প্রকারভেদে প্রতি পোয়া পান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটি পান গাছ একটানা ফলন দেয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর, রোগ বালাইও কম। প্রথম পর্যায়ে বরজে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা, তারপর প্রতি বছরই বরজের পরিচর্চা ও সার হিসেবে সরিষার খৈল ২-৩ মন ব্যবহার করে পান বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার পান চাষী মিজানুর রহমান, পাঁচবিবির চেঁচরা গ্রামের বেলাল হোসেন, আইয়ুব আলী, সালুয়া গ্রামের আখের আলীসহ আরো অনেকে বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে পান করে আমরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছি। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পান বিক্রির জন্য জয়পুরহাট জেলা জুড়ে কোন হাট নেই। তাই পান বিক্রির জন্য অনেক কষ্ট করে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর বাজারে যেতে হয়। এতে আমরা পান চাষীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই সরকারের কাছে পান চাষে প্রশিক্ষন ও ঋণসহায়তা সহ স্থানীয় একটি হাটের দাবী করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এবার জেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। পানচাষে কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহয়তা দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জয়পুরহাটে পান চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১০:০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলা আলু ও ধানের জন্য বিখ্যাত হলেও এখন পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষকদের। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই পান চাষ। তবে কৃষকরা বলছেন, জেলায় পান বিক্রির নির্ধারিত কোন হাট নেই। তাই কিছুটা দুর্ভোগের মধ্যে অন্য জেলায় গিয়ে পান বিক্রি করতে হয় তাদের। তাছাড়া সরকারিভাবে ঋণ ও প্রশিক্ষনসহ অন্যান্য সহযোগীতা না পাওয়ায় কিছুটা বিপাকে তারা।

১৯৯০ সালের দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চেঁচরাগ্রামে আফছার আলী তার নিজ উদ্যোগে ১৫ শতক জমিতে প্রথম শুরু করেন পান চাষ। অন্য ফসলের চেয়ে পান চাষ লাভজনক হওয়ায় তার দেখাদেখি তা বিভিন্ন এলাকায় ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যায়।

বর্তমানে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল, তাজপুরসহ পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা চেঁচরা, সালুয়া, বাগজানা, ত্রিপুরা, রতনপুর, আটাপাড়াসহ প্রায় শতাধিক গ্রামে নিজ মেধা ও উদ্যোগে পান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

প্রকারভেদে প্রতি পোয়া পান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটি পান গাছ একটানা ফলন দেয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর, রোগ বালাইও কম। প্রথম পর্যায়ে বরজে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা, তারপর প্রতি বছরই বরজের পরিচর্চা ও সার হিসেবে সরিষার খৈল ২-৩ মন ব্যবহার করে পান বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার পান চাষী মিজানুর রহমান, পাঁচবিবির চেঁচরা গ্রামের বেলাল হোসেন, আইয়ুব আলী, সালুয়া গ্রামের আখের আলীসহ আরো অনেকে বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে পান করে আমরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছি। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পান বিক্রির জন্য জয়পুরহাট জেলা জুড়ে কোন হাট নেই। তাই পান বিক্রির জন্য অনেক কষ্ট করে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর বাজারে যেতে হয়। এতে আমরা পান চাষীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই সরকারের কাছে পান চাষে প্রশিক্ষন ও ঋণসহায়তা সহ স্থানীয় একটি হাটের দাবী করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এবার জেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। পানচাষে কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহয়তা দেওয়া হচ্ছে।