ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ চুনারুঘাটে জনতার হাতে আটক সাবেক এমপি পাচারের টাকা ফেরাতে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিয়ালের আক্রমণে আহত ৩ জুলাই গণঅভ্যুত্থান কাজলকে পাঠানো হলো থাইল্যান্ডে, বিমানে তুলে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ হেভিওয়েট আসামিদের আজ হাজির করা হবে ট্রাইব্যুনালে জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা দিলো সৌদি আরব আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার, জাকের-অঙ্কনের ব্যাটে ঝলক একতাবদ্ধ হয়ে নারীদের সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়তে হবে : শারমীন এস মুরশিদ

শাক দিয়ে মাছ ডাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৭২ বার

বিএনপির আক্ষেপ, মানুষ ভোট দিতে পারলে তো জয়ী হব কিন্তু সরকারের দুরভিসন্ধির কারণে তো সম্ভব হয় না। দলটির শীর্ষ নেতাদের দাবি, সরকারের পতন আন্দোলন ঠেকাতেই এ পথ বেঁছে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। তাই তড়িঘড়ি করেই পৌরসভা নির্বাচনের আয়োজন। এদিকে ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলে আসছেন, নির্বাচনে ভরাডুবি জেনেই ‌‘শাক দিয়ে মাছ ডাকা’। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তারা এমন বুলি আউড়িয়েছেন। বড় ভুল করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছেন তিনি। সরকার পতনের কথা বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তাদের ডাকে জনগণ আর সায় দেয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন, জ্বালাও-পোড়াও নেত্রীর ডাকে তাদের নেতাকর্মীরাও যায় না। ভাড়া করা কর্মী নিয়ে তিনি দল চালাচ্ছেন। সরকার পতন তো দূরের কথা খালেদা জিয়া আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। সেই নির্বাচনেও শেখ হাসিনাই জয়ী হবেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার আইন দু’দফায় সংশোধনের পর এ প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, এ মুহূর্তে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো চাপ নেই। এ অবস্থায় নির্বাচন আয়োজনের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি তাদের। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এরই মধ্যে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান। এদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। বর্তমানে দুঃশাসনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিএনপির প্রার্থীরা মনোয়নপত্র দাখিল করতে পারলে এবং জনগণ ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারলে আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করেই নির্বাচনের ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য বা মতলব হাসিলের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি এ নির্বাচনেও সরকার ভোট কারচুপি করবে। যারা যোগ্য প্রার্থী তারা নির্বাচিত হতে পাররে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

শাক দিয়ে মাছ ডাকা

আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

বিএনপির আক্ষেপ, মানুষ ভোট দিতে পারলে তো জয়ী হব কিন্তু সরকারের দুরভিসন্ধির কারণে তো সম্ভব হয় না। দলটির শীর্ষ নেতাদের দাবি, সরকারের পতন আন্দোলন ঠেকাতেই এ পথ বেঁছে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। তাই তড়িঘড়ি করেই পৌরসভা নির্বাচনের আয়োজন। এদিকে ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলে আসছেন, নির্বাচনে ভরাডুবি জেনেই ‌‘শাক দিয়ে মাছ ডাকা’। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তারা এমন বুলি আউড়িয়েছেন। বড় ভুল করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছেন তিনি। সরকার পতনের কথা বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তাদের ডাকে জনগণ আর সায় দেয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন, জ্বালাও-পোড়াও নেত্রীর ডাকে তাদের নেতাকর্মীরাও যায় না। ভাড়া করা কর্মী নিয়ে তিনি দল চালাচ্ছেন। সরকার পতন তো দূরের কথা খালেদা জিয়া আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। সেই নির্বাচনেও শেখ হাসিনাই জয়ী হবেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার আইন দু’দফায় সংশোধনের পর এ প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, এ মুহূর্তে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো চাপ নেই। এ অবস্থায় নির্বাচন আয়োজনের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি তাদের। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এরই মধ্যে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান। এদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। বর্তমানে দুঃশাসনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিএনপির প্রার্থীরা মনোয়নপত্র দাখিল করতে পারলে এবং জনগণ ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারলে আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করেই নির্বাচনের ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য বা মতলব হাসিলের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি এ নির্বাচনেও সরকার ভোট কারচুপি করবে। যারা যোগ্য প্রার্থী তারা নির্বাচিত হতে পাররে না।