ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণগ্রস্ত কৃষকের চোখে ঘোর অন্ধকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৌষ মাসের অসময়ের বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে পাঁকা আমন ধান এবং রবি শষ্যের ক্ষেত। উপজেলার ধান ক্ষেতে এখন শুধু পাকা আমন ধানের সমারোহ। কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত। হঠাৎ গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের সাজানো ফসলের ক্ষেত।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তায় কৃষকরা দু’চোখে ঘোর অন্ধকার দেখছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন (উফষি এবং স্থানীয়) আবাদ হয়েছে। ৫০ ভাগ ধান এখন পর্যন্ত কৃষকরা ঘরে তুলেছে। বাকি ৫০ ভাগ পাঁকা ধান মাঠে আছে। এই ৫০ ভাগের কিছু ধান কেটে শুকাবার জন্য কৃষকরা মাঠে পাঁজা করে রেখে দিয়েছে। বড় শৌলা গ্রামের কৃষক শাহ আলম আকন (৫২) জানান, তার প্রায় দেড় একর জমির পাঁকা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় অর্ধ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের বর্গা চাষি মো. ফারুক হাওলাদার (৫৫) জানান, বৃষ্টিতে তার প্রায় ২ একর জমির পাঁকা ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ায় পানিতে ভাসছে।২টি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করব কি করে এজন্য খালি দু’চোখে অন্ধকার দেখছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, এ বছর ৩ হাজার ১শ’ ৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত রবি শষ্য অসময়ের বৃষ্টিতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮০ ভাগ বিনষ্ট হয়ে গেছে। নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের বর্গা চাষি আ. হামিদ মোল্যা (৫৫) জানান, ৩৩ শতক জমিতে ৫ হাজার টাকার করলা ও ঢেড়সসহ বিভিন্ন বীজ কিনে চাষ করেছি। বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে মাঠে থাকা আমন ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। আর রবি শষ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা মৌসুমের যে সময় আছে তাতে কৃষকরা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঋণগ্রস্ত কৃষকের চোখে ঘোর অন্ধকার

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৌষ মাসের অসময়ের বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে পাঁকা আমন ধান এবং রবি শষ্যের ক্ষেত। উপজেলার ধান ক্ষেতে এখন শুধু পাকা আমন ধানের সমারোহ। কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত। হঠাৎ গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের সাজানো ফসলের ক্ষেত।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তায় কৃষকরা দু’চোখে ঘোর অন্ধকার দেখছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন (উফষি এবং স্থানীয়) আবাদ হয়েছে। ৫০ ভাগ ধান এখন পর্যন্ত কৃষকরা ঘরে তুলেছে। বাকি ৫০ ভাগ পাঁকা ধান মাঠে আছে। এই ৫০ ভাগের কিছু ধান কেটে শুকাবার জন্য কৃষকরা মাঠে পাঁজা করে রেখে দিয়েছে। বড় শৌলা গ্রামের কৃষক শাহ আলম আকন (৫২) জানান, তার প্রায় দেড় একর জমির পাঁকা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় অর্ধ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের বর্গা চাষি মো. ফারুক হাওলাদার (৫৫) জানান, বৃষ্টিতে তার প্রায় ২ একর জমির পাঁকা ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ায় পানিতে ভাসছে।২টি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করব কি করে এজন্য খালি দু’চোখে অন্ধকার দেখছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, এ বছর ৩ হাজার ১শ’ ৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত রবি শষ্য অসময়ের বৃষ্টিতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮০ ভাগ বিনষ্ট হয়ে গেছে। নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের বর্গা চাষি আ. হামিদ মোল্যা (৫৫) জানান, ৩৩ শতক জমিতে ৫ হাজার টাকার করলা ও ঢেড়সসহ বিভিন্ন বীজ কিনে চাষ করেছি। বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে মাঠে থাকা আমন ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। আর রবি শষ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা মৌসুমের যে সময় আছে তাতে কৃষকরা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি জানান।