ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইকোলজিস্ট নিয়োগে হাইকোর্টের রুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন কাউন্সিলর (পরামর্শক) অথবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের পারিবারিক, সামাজিক ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন কারণে নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকৃতি থেকে রক্ষা করতে এ নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) অথবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়  হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রিট আবেদন দাখিল করেন।

রিট আবেদনে শিক্ষা, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, তথ্য প্রযুক্তির ক্রমাগত ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম অপরাধ ঘটছে। নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।

আবেদনে আরো বলা হয়, কয়েকবছর ধরে নানারকম অপ্রীতিকর ঘটনা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমাজে মারাত্বক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিস্ক্রিয়তা সংবিধানের ১৭(ক ও খ), ১৮(১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইকোলজিস্ট নিয়োগে হাইকোর্টের রুল

আপডেট টাইম : ০৩:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন কাউন্সিলর (পরামর্শক) অথবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের পারিবারিক, সামাজিক ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন কারণে নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকৃতি থেকে রক্ষা করতে এ নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) অথবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়  হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রিট আবেদন দাখিল করেন।

রিট আবেদনে শিক্ষা, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, তথ্য প্রযুক্তির ক্রমাগত ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম অপরাধ ঘটছে। নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।

আবেদনে আরো বলা হয়, কয়েকবছর ধরে নানারকম অপ্রীতিকর ঘটনা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমাজে মারাত্বক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিস্ক্রিয়তা সংবিধানের ১৭(ক ও খ), ১৮(১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।