হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বিএনপিকে এই নির্বাচনে স্বাগত জানাচ্ছি। দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেন প্রতিদ্ব দ্বতামূলক হয় তাই আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুপডা) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা, পুনর্মিলনী ও গুণিজন সম্মাননা-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডুপডা’র সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ নাজমুল হক, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মো: হুমায়ুন কবির, সাবেক সচিব মাহমুদুল হাসান, ডুপডা’র সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক প্রমুখ। এ সময় ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.ফেরদৌস হোসেন, এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্ব স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা হবে। আর এই নির্বাচনে হারলেও আমাদের কিছু হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাচ্ছে। এই অসহিষ্ণুতা রাজনীতির পরিবেশকে আরও বিষাক্ত করে তুলছে। এখানে আমরা শুধু অসহিষ্ণুতার দেয়াল নির্মাণ করছি। অলঙ্ঘনীয় এই রাজনীতির দেয়াল কেবলই উঁচুতে উঠছে। কিন্তু সম্পর্কের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আমি ছোট-বড় অনেক সেতু নির্মাণ করেছি কিন্তু রাজনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পারিবারিক জীবনেও সম্পর্কের সেতু নির্মাণ করার প্রয়োজন ছিল। এই সংকট নিরসনে আমাদের বিভাজন এবং মেরুকরণের রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে।
মেট্রোরেল প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাবিতে মেট্রোরেল স্টেশন করা হচ্ছে। এটা নিয়েও শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিন্তু আমরা তার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। এই মেট্রোরেলের কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটার কোনো সম্ভাবনাই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে এদিন সকাল থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের আগমনে মুখরিত হয় টিএসসি প্রাঙ্গন। স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মিলনমেলার পরিসমাপ্তি ঘটে।